অর্থ বিভাগ ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য গৃহীত সরকারি ঋণের সপ্তম ও অষ্টম কিস্তি বাবদ আরও ৩১৪ কোটি ৬৪ লাখ ৮৬ হাজার ৯৬৩ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সেতু বিভাগ জানায়, বৃহস্পতিবার (জুন ২৭) দুপুরে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে সপ্তম ও অষ্টম কিস্তি পরিশোধের চেক হস্তান্তর করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এ সময় সংশ্লিষ্ট সচিব ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ২০২৩ সালের ৫ এপ্রিল প্রথম দুই কিস্তি বাবদ ৩১৬ কোটি ৯০ লাখ ৯৭ হাজার ৪৯ টাকা পরিশোধের মাধ্যমে পদ্মা সেতু নির্মাণে সরকারের কাছ থেকে নেওয়া ঋণ পরিশোধ শুরু হয়। ৮ কিস্তিতে এখন পর্যন্ত বাবদ মোট ১ হাজার ২৬২ কোটি ৬৬ লাখ ছয় হাজার ৫৪৮ টাকা সরকারকে পরিশোধ করেছে সেতু বিভাগ।
পদ্মা সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৩২ হাজার ৬০৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা। নির্মাণ ব্যয়ের প্রায় পুরো অর্থ বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষকে ঋণ হিসেবে দেয় অর্থ বিভাগ।
গত ২০২২ সালের ২৬ জুলাই সরকারের অর্থ বিভাগের সঙ্গে সংশোধিত ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। ঋণ চুক্তি অনুযায়ী ১ শতাংশ সুদসহ ৩৫ বছরে ঋণের টাকা ফেরত দেবে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। ঋণ পরিশোধের শিডিউল অনুযায়ী প্রতি অর্থবছরে চারটি কিস্তি করে সর্বমোট ১৪০টি কিস্তিতে সুদ-আসল পরিশোধ করা হবে।
চুক্তি অনুযায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছর থেকে সেতুটির ঋণ পরিশোধ শুরু হয়েছে এবং এ ঋণ পরিশোধের জন্য ২০৫৬-৫৭ অর্থবছর পর্যন্ত সময় পাবে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।
২০২২ সালের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রমত্তা পদ্মা নদীর বুকে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দেশের বৃহত্তম সেতুর উদ্বোধন করেন। পদ্মা সেতু সরাসরি দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমের ২১ জেলাকে রাজধানীর সঙ্গে যুক্ত করেছে এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
সেতু বিভাগ জানায়, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে এ বছরের জুন পর্যন্ত ১৫ শতাংশ ভ্যাট বাবদ পরিশোধিত হয়েছে ২২৪ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এছাড়া, ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে গতকাল বুধবার (২৬ জুন) পর্যন্ত সংগৃহীত টোলের পরিমাণ ১ হাজার ৬৫৩ কোটি ৭১ লাখ ৬৫ হাজার ৫৫০ টাকা।