রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত ইউক্রেনে সেনা পাঠানো নিয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির অতি ডানপন্থী ন্যাশনাল র্যালি দলের নেতা মেরিন লে পেন।
তিনি বলেন, তার দল পরবর্তী সরকার গঠন করলে সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হিসেবে ম্যাক্রোঁ ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর সুযোগ পাবেন না।
পার্লামেন্টে ন্যাশনাল র্যালির নেতৃত্ব দেওয়া মেরিন একটি পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই হুঁশিয়ারি দেন।
তিনি বলেন, “সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান প্রেসিডেন্টের জন্য একটি আলংকারিক পদ। প্রধানমন্ত্রীই আদতে এ বাহিনীর দেখভাল করে থাকেন।”
ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে দল বাজে ফল করায় আগাম পার্লামেন্ট নির্বাচনের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ। দুই ধাপে ভোটগ্রহণের প্রথম দফা রবিবার অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় ধাপের ভোট গ্রহণ হবে ৭ জুলাই।
জনমত জরিপ অনুযায়ী, প্রথম ধাপের নির্বাচনে ন্যাশনাল র্যালি পেতে পারে ৩৬ শতাংশ ভোট। সেই হিসেবে পার্লামেন্ট নিয়ন্ত্রণে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না দলটি। বামপন্থী নিউ পপুলার ফ্রন্ট রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে। তারা পেতে পারে ২৯ শতাংশ ভোট। ম্যাক্রোঁর এনসাম্বল অ্যালায়েন্স পেতে পারে ১৯ দশমিক ৫ শতাংশ।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে ম্যাক্রোঁ সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক। প্রথাগতভাবে প্রেসিডেন্ট দেশটির পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা নীতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন।
রাশিয়ার পুরোদমে হামলা শুরুর পর ইউক্রেনকে সমর্থন দেওয়া ইউরোপের প্রভাবশালী নেতাদের একজন ম্যাক্রোঁ। রাশিয়া যদি বেশি বাড়াবাড়ি করে, সেক্ষেত্রে ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর সম্ভাবনা নাকচ করতে অস্বীকার করে আসছেন তিনি।
স্থানীয় পত্রিকা লে টেলিগ্রামকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেরিন বলেন, ন্যাশনাল র্যালির নেতা জর্ডান বারদেলা ফ্রান্সের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন বলে মনে করেন তিনি। তখন প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা কমবে।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে মেরিন বলেন, “তার (ম্যাক্রোঁর) সঙ্গে বিবাদে জড়ানোর কোনও ইচ্ছা নেই জর্ডানের। তবে তিনি একটি চূড়ান্ত সীমা ঠিক করে দেবেন, প্রেসিডেন্ট সেনা পাঠাতে সক্ষম হবেন না।”
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ম্যাক্রোঁর কাছেই পরাজিত হয়েছিলেন মেরিন। তিনি বলেন, “পার্লামেন্ট নির্বাচনে ন্যাশনাল র্যালি যদি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়, তাহলে দলের ২৮ বছর বয়সী জর্ডানকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া ছাড়া ম্যাক্রোঁর সামনে তেমন কোনও পথ খোলা থাকবে না।” সূত্র: বিবিসি