আমদানি বেশি এবং বিক্রি কম হওয়ার কারণে দিনাজপুরের হিলিতে কমেছে সব ধরনের মসলার দাম। প্রতি কেজি মসলা প্রকারভেদে কমেছে ১০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। দাম কমাতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে। আমদানি অব্যাহত থাকলে এবং এলসি বেশি পরিমাণ হলে আরও দাম কমবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
দেশের বাজারে মসলার বাজার স্বাভাবিক রাখতে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে মসলা জাতীয় পণ্য আমদানি করা হয়ে থাকে। বর্তমানেও এই স্থলবন্দর দিয়ে জিরা, সাদা এলাচ, কালো এলাচসহ নানা মসলা জাতীয় পণ্য আমদানি হচ্ছে। যার ফলে দেশের বাজারে কমতে শুরু করেছে দাম। বর্তমানে জিরা কেজি প্রতি ৫০ টাকা কমে ৬৫০ টাকায়, ভাল মানের সাদা এলাচ কেজি প্রতি ৫০০ টাকা কমে ৩ হাজার টাকায়, কালো এলাচ কেজি প্রতি ২০০ টাকা কমে ২ হাজার ৬০০ টাকায়, দারুচিনি কেজি প্রতি ৫০ টাকা কমে ৪৫০ টাকায় এবং লবঙ্গ কেজি প্রতি ৩০০ টাকা কমে ১ হাজার ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
কথা হয় মিনারা বেগম, হাসমত আলীসহ কয়েক জনের সঙ্গে তারা বলেন, কিছু দিন আগেও মসলার বাজারে প্রচুর দাম ছিল। বর্তমানে কিছু কিছু মসলার দাম কমেছে। যার জন্য আমরা একটু বেশি করেই কিনলাম। দাম কিছুটা কম হওয়াতে স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে।
হিলি বাজারের মসলা বিক্রেতা মহসীন আলী বলেন, কোরবানি ঈদের পর থেকে বিক্রি কমে গেছে। সেই সঙ্গে আমদানিও বেশি পরিমাণ হচ্ছে। ফলে দাম কমতে শুরু করেছে। আমরা কম দামে কিনে কম দামে বিক্রি করছি। তবুও আগের থেকে ক্রেতা অনেক কম।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশিদ হারুন বলেন, বর্তমানে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে মসলা জাতীয় পণ্য বেশি আমদানি হচ্ছে। তবে সরকার যদি এলসির পরিমাণ বৃদ্ধি করে দিত তাহলে আমরা আমদানিকারকরা বেশি বেশি মসলা জাতীয় পণ্য আমদানি করতে পারবো। ব্যাংকে কিছুটা জটিলতা রয়েছে, সেগুলোর সমাধান হলে আরও বেশি আমদানি করা হবে।
হিলি কাস্টমসের তথ্য মতে, চলতি মাসের ২৩ কর্ম দিবসে ভারত থেকে ২৫ ট্রাকে প্রায় ৮০০ মেট্রিক টন জিরা আমদানি হয়েছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে।