বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্থায়ীভাবে আশ্রয় দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই ভারতের। তিনি যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা দেয়নি ব্রিটিশ সরকার।
যুক্তরাজ্যে আশ্রয়ের আবেদন গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত শেখ হাসিনা ভারতেই থাকবেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দিল্লিতে সর্বদলীয় এক বৈঠকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, এখনো দিল্লিতেই রয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তাকে কিছু দিন সময় দিচ্ছে ভারত। তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী, তা তিনি ভারত সরকারকে জানাবেন। হাসিনার পরিকল্পনা জানার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে নয়াদিল্লি।
এর ফলে প্রশ্ন উঠছে, যুক্তরাজ্য যদি আশ্রয় আবেদন প্রত্যাখ্যান করে, তাহলে কী করবেন শেখ হাসিনা? তিনি ভারতে থাকার সময় দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা করবেন নাকি তৃতীয় কোনো দেশ খুঁজবেন? এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য জানা যায়নি।
এ অবস্থায় কূটনৈতিক টানাপোড়েনে পড়েছে ভারত সরকার। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, পদত্যাগকারী প্রধানমন্ত্রীকে প্রকাশ্যে অতিরিক্ত সমর্থন দিলে বাংলাদেশের নতুন প্রশাসনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক জটিল হয়ে উঠতে পারে। এই ঝুঁকি নিতে রাজি নয় নয়াদিল্লি।
আবার, ভারতের সঙ্গে শেখ হাসিনার সম্পর্কের ইতিহাসও গুরুত্বপূর্ণ। তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার অনেক আগে, বাংলাদেশে ১৯৭৫ সালের অস্থিরতার সময় পিতা শেখ মুজিবুর রহমানসহ পুরো পরিবার নিহত হওয়ার করার পর ভারতের তৎকালীন ইন্দিরা গান্ধী সরকার তাকে আশ্রয় দিয়েছিল। তাই এই মুহূর্তে শেখ হাসিনার সঙ্গ ত্যাগ করাও ভারতের জন্য সহজ সিদ্ধান্ত হবে না।