‘কৃষিই কৃষ্টি-কৃষিই সমৃদ্ধি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা, পিঠা খাওয়া, নাচ-গান-আনন্দ উল্লাসের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে ‘জাতীয় কৃষি দিবস ও নবান্ন উৎসব-২০১৭’। বিশ্ববিদ্যালয়ে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহের সহযোগিতায় গতকাল এ উপলক্ষে র্যালি, পিঠা উৎসব, কৃষির চিত্র প্রদর্শনী, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নগরের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত শত শত মানুষের সমাগমে অভূতপূর্ব দৃশ্যে পরিনত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদের নেতৃত্বে র্যালি বের করা হয়। র্যালিতে কৃষক-কৃষাণি সেজে আসে শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও কৃষি যন্ত্রের প্রদর্শনী, কৃষি প্রযুক্তি এবং কৃষি স্লোগান সংবলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করা হয়। ভিন্নধর্মী আয়োজনের মাধ্যমে স্টল নিয়ে নবান্ন উৎসবের অংশ নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো।
পরে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সেকেন্দার আলী, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল হক বেগ।
অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, নবান্ন উৎসবের সঙ্গে মিশে আছে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি। অগ্রহায়ণের শুরুতেই এপার বাংলা ও ওপার বাংলাতে চলে উৎসবের নানা আয়োজন। নতুন ধান কাটা আর সেই ধানের প্রথম অন্ন খাওয়াকে কেন্দ্র করে পালিত হয় নবান্ন উৎসব। বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। এ যেন সত্যি হৃদয়ের বন্ধনকে আরও গাঢ় করার উৎসব।