কোটাবিরোধী আন্দোলনে সহিংসতায় টোল প্লাজায় ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দেওয়ায় বন্ধ থাকা ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে টোল আদায় রোববার (১১ আগস্ট) শুরু হয়েছে। তবে আপাতত বন্ধ থাকছে এক্সপ্রেসওয়ের বনানী ও মহাখালী টোলপ্লাজা। ঢাকার প্রথম এই উড়ালপথের নির্মাতা ও পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স বিভাগের ব্যবস্থাপক হাসিব হাসান খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বনানীর চেয়ারম্যান বাড়ি ও মহাখালী টোলপ্লাজা বাদে বাকি টোলপ্লাজায় রোববার (১১ আগস্ট) বেলা ৩টা থেকে টোল নেওয়া শুরু হয় টোল আদায় শুরু হয়েছে। আমাদের বিমানবন্দর, কুড়িল, তেজগাঁও, কুড়িল, বনানী-১ প্লাজা ঠিক আছে। এসব প্লাজায় আমরা আগের নিয়মে টোল আদায় করছি।”
তিনি বলেন, বনানী- (চেয়ারম্যানবাড়ি) এবং মহাখালী প্লাজা আপাতত বন্ধ থাকবে। কোম্পানি যদি সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে পরে আমরা সেখানে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে টোল আদায় চালু করতে পারব।
প্রসঙ্গত, কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৮ জুলাই রাতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বনানীর টোল প্লাজা ভাঙুচর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। শুক্রবার মহাখালীর টোলপ্লাজায় আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। আগুনে টোল প্লাজার ছাউনি, টোলের বুথ এবং অপারেটিং সিস্টেম পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র, কম্পিউটারসহ যন্ত্রপাতি।
সেদিন থেকেই বন্ধ হয়ে যায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। তীব্র ছাত্র আন্দোলনের মুখে ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। সেদিন থেকেই এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। তবে টোল আদায় বন্ধ ছিল এতদিন। দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের আওতায় হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত যাবে। সংযোগ সড়কসহ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের দৈর্ঘ্য হবে ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে প্রতিদিন ৫০ হাজারের বেশি যানবাহন চলাচল করে।