যত সময় যাচ্ছে আরও জটিল হচ্ছে ইরান ইসরাইল সংঘাত। পূর্বেই এই দ্বন্ব জোরালো হওয়ার আঁচ পেয়েছিল বিশ্লেষকরা। কেননা সদ্যই ইরানের মাটিতে হত্যা করা হয়েছে হামাস প্রধান হানিয়া। অভিযোগ তীর ছিল ইসরাইলের দিকে। পাল্টা জবাব দেবে ইরান এমন হুঁশিয়ারি আগেও শোনা গিয়েছিল। এই নিয়ে ইসরাইলও পাল্টা হুমকি দিয়েছিল। ইসরাইলে আক্রমণ হলে পাল্টা হামলা চালাবে ইসরাইল। এই নিয়ে বেশ চিন্তিত ছিল ইসরাইল মিত্র দেশগুলি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ অন্যান্য ইউরোপীয় মিত্র দেশগুলি (যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও যুক্তরাজ্য) ইসরাইলে হামলা থেকে ইরানকে পিছু হটার আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু ইরান এই প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান জানিয়েছেন, ‘তার শপথ গ্রহণের দিনই তেহরানে অতিথি হয়ে আসা হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় হত্যার জবাব দেয়ার অধিকার তার দেশের রয়েছে।’ তার কথায়, যেহেতু এই ঘটনা ইরানের মাটিতে ঘটেছে তাই হত্যার জবাব দেয়া দরকার।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্যের নেতারা ইরানকে পিছু হটতে বলার যে আহ্বান জানিয়েছেন, তাতে রাজনৈতিক যুক্তি নেই। এবং তা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। এটা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।’
ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হানিয়া ইারনে গিয়েছিল। তার নিহত হওয়ার ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে বৈরুতে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর একজন শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যা করে ইসরাইল। পরপর এই দুই শীর্ষ নেতাকে হত্যা করায় ক্ষোভে ফুঁসছে ইরান। প্রতিশোধ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইরান ও তার মিত্র হিজবুল্লাহও। এমতাবস্থায়, ইসরাইলে হামলা চালানো হলে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হতে পারে বলে মনে করছে বিশ্লেষকেরা।