বাংলাদেশে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও মৌলভীবাজারসহ ৬টি জেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার কারণে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ২ লাখ পরিবার। অন্যদিকে এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা প্রায় ১৮ লাখ।
অভিযোগ উঠেছে, ভারতীয় বাঁধ থেকে পানি ছাড়ার কারণে বাংলাদেশে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে ভারতের দাবি, বাঁধের পানি ছাড়ার কারণে বাংলাদেশে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি করা হয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ত্রিপুরার গোমতী নদীতে ভারতীয় বাঁধ থেকে পানি ছাড়ার কারণে বাংলাদেশে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। ত্রিপুরার গোমতী নদীর উজানে ডাম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়ায় বাংলাদেশের পূর্ব সীমান্তের জেলাগুলোতে বন্যার বর্তমান পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে আমরা বাংলাদেশে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখেছি। তবে বাস্তবে এটি সঠিক নয়।
এতে আরও বলা হয়, আমরা উল্লেখ করতে চাই- ভারত ও বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত গোমতী নদীর ক্যাচমেন্ট এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে এই বছরের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। বাংলাদেশে এই বন্যা মূলত বাঁধের ভাটির দিকের এই বৃহৎ ক্যাচমেন্টের পানির কারণে ঘটেছে।
ডাম্বুর বাঁধটি সীমান্ত থেকে বেশ দূরে – বাংলাদেশের ১২০ কিলোমিটারেরও বেশি উজানে অবস্থিত। এটি স্বল্প উচ্চতাবিশিষ্ট (প্রায় ৩০ মিটার) বাঁধ যা বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে একটি গ্রিডে পাঠায় এবং সেখান থেকে বাংলাদেশও ত্রিপুরা থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎশক্তি গ্রহণ করে। প্রায় ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই নদীপথে অমরপুর, সোনামুড়া ও সোনামুড়া ২-এ তিনটি স্থানে আমাদের পানিরস্তর পর্যবেক্ষণ সাইট রয়েছে।
সমগ্র ত্রিপুরা ও এর পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশের জেলাগুলোতে ২১ আগস্ট থেকে ভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। ভারী প্রবাহের এই ঘটনায়, পানির স্বয়ংক্রিয় মুক্তকরণ পরিলক্ষিত হয়েছে।
অমরপুর স্টেশন একটি দ্বিপাক্ষিক প্রটোকলের অংশ যার অধীনে আমরা বাংলাদেশে বন্যার তাৎক্ষণিক তথ্য প্রেরণ করছি। বুধবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত বাংলাদেশে সরবরাহকৃত তথ্যে ক্রমবর্ধমান প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে। সন্ধ্যা ৬ টায়, বন্যার কারণে, বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটার ফলে যোগাযোগের সমস্যা দেখা দেয়। তবুও, আমরা জরুরি ভিত্তিতে তথ্য পাঠানোর জন্য তৈরি অন্যান্য মাধ্যমে যোগাযোগ বজায় রাখার চেষ্টা করেছি।