সৈয়দ মাহবুব হাসান আমিরী, শিক্ষক
ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ
প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ,
আজকের আলোচ্য বিষয় হলো ষষ্ঠ শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের দ্বিতীয় ও তৃতীয় অধ্যায়ে পাঠে নতুন যা শিখলাম:
প্রিন্টার: কম্পিউটার থেকে কোনও তথ্য (ছবিও হতে পারে) কাগজের উপরে মুদ্রিত অবস্থায় পেতে চান, তখন যে আউটপুট ডিভাইসটি তাকে ব্যবহার করতে হবে, সেটির নাম প্রিন্টার। অনেক রকমের প্রিন্টার হতে পারে। যে প্রিন্টার একটি অক্ষরই কেবলমাত্র একবারে মুদ্রিত করতে পারে তাকে বলে ক্যারেকটার প্রিন্টার। যে প্রিন্টার একবারে একটি সম্পূর্ণ লাইন মুদ্রিত করে, তাকে বলে লাইন প্রিন্টার। যে প্রিন্টার একবারে একটি পুরো পৃষ্ঠার তথ্য মুদ্রিত করে, তাকে বলে পেজ প্রিন্টার। প্রিন্টার হল একটি পেরিফেরাল যন্ত্র। যা মানুষের বোধগম্য গ্রাফ, ছবি, শব্দ, লেখা কাগজে (সাধারণত) ছাপায়। সবচেয়ে সাধারণ প্রিন্টার দুটি হল সাদা-কালো এবং রঙিন। সাদা কালো লেজার প্রিন্টারগুলো দিয়ে কাগজপত্রাদি, দলিলাদি প্রিন্ট করা হয়। আর রঙিন ইন্ক জেট প্রিন্টার দিয়ে উচ্চ ও ছবির সমমানের ফলাফল পাওয়া যায়। পৃথিবীর প্রথম কম্পিউটার প্রিন্টার ছিল ১৯’শতকের চার্লস ব্যবেজ কর্তৃক আবিষ্কৃত ডিফারেন্স ইঞ্জিনের জন্য যন্ত্রটি।
প্লটার: প্লটার হচ্ছে কম্পিউটার চালিত এক ধরনের বড় প্রিন্টার এবং আউটপুট যন্ত্র। স্থপতি, প্রকৌশলী এবং অন্যান্য ধরনের নক্সাবিদ এবং যারা মানচিত্র তৈরি করেন তাদের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম রেখার সুস্পষ্ট ও সঠিক ব্যবহারের জন্য প্লটার ব্যবহার করা হয় । প্লটারে অনেক চওড়া কাগজ প্রিন্ট নেওয়া যায়, যা মানচিত্র এবং বিভিন্ন প্রকার নক্সার জন্য অপরিহার্য। প্লটার প্রধানত দুই প্রকারের হয়- ফ্লাট বেড প্লটার ও ড্রাম টাইপ প্লটার। প্লটার দিয়ে বিজ্ঞাপণ ছাপানো কাজে ব্যবহার করা হয়। ব্যানার পোস্টারের কাজে প্লটার প্রিন্টার ব্যবহার করা হয়।