ঢাকায় ৩০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ভ্রাম্যমাণ বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে যুক্তরাষ্ট্রের একটি কোম্পানিকে ২৪ একর জমি দিয়েছে সরকার।
আগামী পাঁচ বছরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের এপিআর এনার্জি নামে ওই কোম্পানির অনুকূলে কেরাণীগঞ্জের পানগাঁওয়ে ওই জমি ইজারা দেওয়া হয়েছে বলে নৌমন্ত্রী শাজাহান খান জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের সঙ্গে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এই বৈঠকের পর এপিআর এনার্জিকে জমি লিজ দেওয়ার কথা সাংবাদিকদের জানান নৌমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “৩০০ মেগাওয়াট মোবাইল বিদ্যুৎকেন্দ্র করতে পানগাঁওয়ে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) জায়গা চেয়েছিল। দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য তাদের এই জায়গাটা আমরা পাঁচ বছরের জন্য লিজ দিয়েছি।”
এপিআর এনার্জি নামে একটি কোম্পানি ওই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করবে জানিয়ে নৌমন্ত্রী বলেন, পাঁচ বছর পর তারা এখান থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাবে।
যুক্তরাষ্ট্রকে ইজারা দেওয়া পানগাঁওয়ের অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার টার্মিনালের (আইসিটি) পাশের জমিটি অব্যবহৃত ছিল জানিয়ে শাজাহান খান বলেন, খুব শিগিগির সেটা ডেভেলপ করব।
জমি ইজারা দিয়ে বাংলাদেশের লাভ কী হবে- সেই প্রশ্নে নৌমন্ত্রী বলেন, “৩০০ মেগাওয়ার্ট বিদ্যুৎ আমরা পাব। এটা হল ভ্রাম্যমাণ, এটা ডক্সের মত বড় বড় কন্টেইনার। এই কন্টেইনারের মত ৫০০ কন্টেইনার এখানে বসবে। বিদ্যুৎ আমাদের গ্রিডে চলে আসবে।”
এপিআর এনার্জির অনুকুলে পানগাঁও ইনল্যান্ড কন্টেইনার টার্মিনালকে ২৪ একর জমি পাঁচ বছরের জন্য লিজ দিতে গত ১৯ নভেম্বর নৌ সচিবকে চিঠি দেয় বিদ্যুৎ ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়।
ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে কেরাণীগঞ্জের পানগাঁও-এ ৩০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এইচএসডি ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য কোম্পানিটিকে ওই জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হল।
‘প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে আগামী গ্রীষ্মে বিদ্যুতের চাহিদা মেটানোর জন্য অত্যন্ত উপযোগী হবে’ বলে বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়েছিল।
এপিআর অল্প সময়ের মধ্যেই বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম হবে বলে আশা করেন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট।
বাংলাদেশের বিভিন্ন সমুদ্র বন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান নৌমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “পোর্টের সকল কর্মকাণ্ড নিয়ে- বিশেষ করে নিরাপত্তার দিকটিতে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আরও কিছু প্রস্তাব করেছেন, সেগুলো আমরা দেখব।”