• মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৯ পূর্বাহ্ন

কে এই সাদিক, ঢাবিতে ছাত্রশিবিরের সভাপতি

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি): দীর্ঘ একযুগেরও বেশি সময় পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ্যে এসেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র শিবির। সাদিক কায়েম নামে এক শিক্ষার্থী নিজেকে সংগঠনটির শাখা সভাপতি দাবি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দেওয়ার পর বিষয়টি সামনে আসে।

শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম সাদিক কায়েমের দেওয়া তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেছেন, শিগগির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবির শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করা হবে।

সাদিক কায়েম শিবির সভাপতি, বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। অনেকেই বিষয়টি নেতিবাচকভাবে দেখছেন।

গতকাল শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের আহ্বানে ৯টি রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বৈঠক হয়। সেখানে শিবিরের ঢাবি শাখার সভাপতি হিসেবে সাদিক কায়েম অংশ নেন। তার সাথে অংশ নেন সাহিত্য সম্পাদক রেজাউল করীম শাকিল। আলোচনা শেষে গণমাধ্যমের সামনে আসেন তিনি।

সাদিক কায়েম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলায়। ছোটবেলায় তিনি খাগড়াছড়ি বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া আদর্শ মাদরাসা থেকে দাখিল ও পরে চট্টগ্রামের বায়তুশ শরফ থেকে আলিম পাস করেন। তিনি বিভাগে তৃতীয় স্থানে থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাঠ শেষ করেছেন। এছাড়াও তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র সংসদের সভাপতি ছিলেন।

নিজেকে আত্মপ্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাদিক লেখেন- ‘ফ্যাসিস্ট শোষণ শুধু ছাত্ররাজনীতি নয়, রাজনীতির সংজ্ঞাই পাল্টে দিয়েছে। ফ্যাসিবাদে কোনো রাজনীতি থাকে না। বিরাজনীতি ফ্যাসিবাদের ভাষা। ফ্যাসিবাদ ছাড়া সকল বাদ, ইজম ও রাজনীতি ফ্যাসিবাদে অনুপস্থিত থাকে। টেন্ডারবাজি, গুম, খুন, ক্রসফায়ার, ফাঁসি, ধর্ষণ, রাহাজানি, দুর্নীতি এসব রাজনীতি না। এগুলো ফ্যাসিবাদ।

আওয়ামী ফ্যাসিবাদের গত ষোল বছরের ভয়ংকর দিনগুলো কিংবা তারও পূর্বের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলো রাজনীতির প্রতি তীব্র ঘৃণা সৃষ্টি করেছিল তরুণ প্রজন্মের মধ্যে। কিন্তু চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান সমস্ত ভুল ভেঙে দিয়েছে। রাজনীতি সম্পর্কে তৈরি হয়েছে নতুন সচেতনতা। দেয়ালে দেয়ালে লেখা হচ্ছে, এখানে রাজনৈতিক আলাপ জরুরি।

আমরা চাই, রাজনীতির আদর্শে ছাত্ররাজনীতির ব্যাপক ইতিবাচক সংস্কার হবে। ভবিষ্যতের ছাত্র রাজনীতিতে মত-দ্বিমত হবে, যুক্তির পাথরে সবাই বিক্ষিপ্ত হবে, কিন্তু কোনো হকিস্টিক কিংবা স্ট্যাম্প থাকবে না। কোনো গেস্টরুম, গণরুম থাকবে না। চব্বিশের আকাঙ্ক্ষাকে বুকে নিয়ে এগিয়ে যাবে এই ছাত্ররাজনীতি।

মধুতে ভিন্নমতের কেউ চা খেলে অপর পক্ষের কেউ তেড়ে আসবে না। একাডেমিক পরিবেশে কোনো বিঘ্ন ঘটবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকবে ছাত্রসংসদ ভিত্তিক ছাত্ররাজনীতি।

তিনি বলেন, আমরা মেধার ভিত্তিতে রাজনীতি করতে চাই। কিন্তু গত ১৫ বছর আমাদের সে সুযোগ দেওয়া হয়নি। আমাদেরকে আন্ডারগ্রাউন্ডে রাজনীতি করতে বাধ্য করা হয়েছিল।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ