• শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:৩০ অপরাহ্ন

বিশ্ব পর্যটন দিবস

আড়ম্বর আয়োজন নেই কক্সবাজারে, ব্যবসায়ীরা তবুও আশাবাদী

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

বিশ্ব পর্যটন দিবস আজ। প্রতিবছরের ন্যায় ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কক্সবাজারেও পালন করা হয় দিবসটি। কিন্তু কোনো আড়ম্বর আয়োজন নেই। শুক্রবার সকালে র‍্যালি, বিকেলে লাবণী পয়েন্টে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পালিত হবে বিশ্ব পর্যটন দিবস।

অতীতের মতো জমকালো কোনো আয়োজন না থাকলেও দিবসটি ঘিরে কক্সবাজার বেড়াতে আসবেন লাখো দর্শনার্থী, এমনটি মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

তথ্য বলছে, কক্সবাজারে ঘুরে বেড়ানোর প্রধান স্পট সমুদ্র সৈকত। দেখার জন্য রয়েছে রাখাইন সম্প্রদায়ের বৌদ্ধ মন্দির ও প্যাগোডা, ধাতু ও ব্রোঞ্জের তৈরি বুদ্ধ মূর্তি, ছোট-বড় ১৩টি মূর্তি নিয়ে লাল সিং ও পাশে সাদা সিং নামের বৌদ্ধ বিহার, বৈচিত্র্যময় জীবনধারা, ডুলাহাজারার বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, মহেশখালীর আদিনাথ মন্দির, সোনাদিয়া দ্বীপ, কুতুবদিয়া দ্বীপ, চকরিয়া ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক, হিমছড়ি ঝর্ণা। রয়েছে দেশের একমাত্র ফিস একুরিয়াম।

তবে অভিযোগ রয়েছে, পর্যটন স্পট হলেও এসব সুরক্ষায় কিংবা সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সংশ্লিষ্টদের কোনো পদক্ষেপ দেখা যায় না। সরকার বিভিন্ন সময় নানামুখী পদক্ষেপের কথা বললেও কার্যত তা কিছুই হয়নি। উল্টো কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা, কলাতলী, লাবনী পয়েন্টসহ বিভিন্ন স্থানের বালুকাবেলা দখল হয়েছে অসাধু চক্রের হাতে। আর বালিয়াড়ি দখল করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে লাইসেন্সও দেওয়া হচ্ছে। ফলে বিভিন্ন সময় পর্যটকরা বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। আবার অনেক সময় ছিনতাইকারী ও টমটম চালকদের হাতে হেনস্তার শিকার হয়েছেন অনেক পর্যটক। রয়েছে ভাতের হোটেল ও আবাসিক হোটেলগুলোতে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগও।

সরজমিনে দেখা যায়, বর্ষার পানির তীব্র স্রোতে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমুদ্র সৈকতের বেলাভূমি। তীরে জেলা প্রশাসনের লাইসেন্সে ঝুপড়ি দোকান নির্মাণ করে ব্যবসা পরিচালনা করছে বেশ কয়েকটি চক্র। এতে সৈকতের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে। নির্মল হাওয়া থেকে কিটকট চেয়ার বা শুকনো বালিতে বসার কোনো জো নেই। বিচ বাইক, ঘোড়ার অবাধ বিচরণ, ভ্রাম্যমাণ হকারদের ডাকাডাকিতে চরম বিড়ম্বনায় থাকে দর্শনার্থীরা। জোয়ারের আঘাতে সৈকত পারের পাশাপাশি তলিয়ে গেছে বিপুল ঝাউগাছ। দরিয়ানগর, হিমছড়িতে কিছুটা সংস্কার হলেও অন্য কোথাও কোনো সংস্কার হয়নি। নেই কোনো সুরক্ষা ব্যবস্থাও। ফলে পর্যটক আকৃষ্ট করতে পারছে না কক্সবাজার।

পর্যটকরা জানিয়েছেন, কক্সবাজারে প্রতিবছর লাখ লাখ পর্যটক আসলেও আকৃষ্ট করার কোনো আয়োজন নেই সংশ্লিষ্টদের। পর্যটন স্পটগুলো আগের চেয়ে বাজে অবস্থায় রয়েছে।

তাদের মতে, দীর্ঘতম সৈকতকে ঘিরে গড়ে উঠেছে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প। এ শিল্পকে নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় নানা পরিকল্পনার কথা বলা হলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। অযত্ন-অবহেলায় জৌলুস হারাতে বসেছে বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকত তীর কক্সবাজার।

পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনাকালীন থেকে পর্যটন ব্যবসায় ধস নেমেছে। শুধু ছাত্র আন্দোলন থেকে চলতি সময় পর্যন্ত হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে এ শিল্পে। পরিস্থিতি এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই অমানিশায় ঢেকে যাবে এ শিল্প।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ