মোঃ কায়েস কাওছার, সিরাজগঞ্জঃ সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় বক্সের মাধ্যমে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছে মৌচাষিরা। শীতকালীন শষ্য সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহে স্টিল ও কাঠের দ্বারা বিশেষ ভাবে তৈরি করা হয়েছে বাক্স সেই বাক্সগুলোর ভিতরে সাতটি স্তরে সাজানো হয়েছে সিট এবং সেই স্তরগুলোতে মোমদিয়ে আবরিত করা হয়েছে এবং প্রতিটি বাক্সের খোলা মুখটি ডেকে দেওয়া হয়েছে শক্ত পলিথিন দিয়ে।
সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র, বেলকুচি উপজেলা কদমতলী, তামাই পশ্চিমপাড়া, সহ অনেক জায়গাতেই মধু সংগ্রহের ব্যস্ত সময় পার করছে মৌচাষিরা।
সাতক্ষীরা থেকে ইদ্রিস সাংবাদিককে জানান,আমি প্রতি বছরের ন্যায় এবারও এসেছি সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার কদমতলী গ্রামে, এখানে ফসলের জমির পরিমাণ অনেক বেশি এই জমিগুলোতে শুধুমাত্র ইরি ধানের পাশাপাশি সরিষা ফসলি আবাদ করা হয়।আমি প্রায় এক মাস যাবত এখানে অবস্থান করছি। বাক্সে মধু চাষ করছি প্রায় এক বছর ধরে প্রতি সাত দিন পর পর মধু বের করা হয়।
এখানে মোট ১৯০ টি বাক্স স্থাপন করা হয়েছে আমি এজাবৎ মোট ৩০ মন মধু পেয়েছি। যখন ফসলি জমিতে ফুলের মধু থাকে না তখন প্রতি বাক্সে ১৫ হাজার টাকার চিনি দিয়ে মৌমাছিকে বাঁচিয়ে রাখা হয়। কিন্তু সরিষার মৌসুমে ফুলের মধু থাকায় কোন চিনি ব্যবহার করতে হচ্ছে না ফলে মধু সংগ্রহে লাভের পরিমাণ অনেক বেশি ।
তিনি সাংবাদিককে আরো জানান প্রতিটি বক্সে একটি করে রানী মৌমাছি আছে আর এই রানী মৌমাছির কারণেই একটি বক্সে তিন থেকে ৪ হাজার পুরুষ মৌমাছি বাস করে পুরুষ মৌমাছিরা ফুলের মধু সংগ্রহ করে বক্সে নিয়ে আসে মূলত এভাবেই ফুলের মধু থেকে বক্সের মাধ্যমে মধু সংগ্রহ করা হয়। বর্তমানে সরিষা ফুলের মধু ২৫০ থেকে ৩০০টাকা টাকায় বিক্রয় করছি।