• মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৩২ পূর্বাহ্ন

ট্রাসজেন্ডার নিয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান মুফতি ফয়জুল করিমেরে

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২৫

ট্রাসজেন্ডার ইস্যুটি নিয়ে। আমি যদি ভাবি আমি মেয়ে তাহলে আমি মেয়ে হয়ে যাবো! কি একটা বিষয় আপনারা ভাবতে পারেন? এই বিষয়টা প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। আর আমাদের বাংলাদেশে তো অলরেডি প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। এসব ব্যাপারে খুবই সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।

সেই পরিকল্পনার আলোকে প্রতি জুমার মসজিদে খ্রিষ্টান পাদ্রিরা বক্তব্য রাখতেন।

এটা ব্রিটিশরা আইন করে বাধ্যতামূলক করে দিয়েছিলেন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেছেন, ইতিহাস সাক্ষী ৪১ বার ব্রিটিশদের কাছে দরখাস্ত দেওয়া হয়েছিল যেন ঢাকাতে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় না হয়। কলকাতার গড়ের মাঠে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সভাপতিত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় বাঁধা দেওয়া হয়েছিল। এর কারণ ছিল একটাই। সেটা হলো- এই অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি মুসলমানরা বসবাস করে। যদি ঢাকাতে বিশ্ববিদ্যালয় হয় তাহলে এই অঞ্চলের মুসলমানরা শিক্ষিত হয়ে যাবে।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর কাজী নজরুল সরকারি কলেজ শাখা ‘ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ’ কর্তৃক আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

ফয়জুল করিম বলেন, রবীন্দ্রনাথের এই বিরোধীতার কারণেই ১৯১১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হয় নাই। নবাব সলিমুল্লাহ খান মারা গেছেন ১৯১৫ সালে। আর এই বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে ১৯২১ সালে। নবাব সলিমুল্লাহ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ৬শ একর জমি দান করেছেন। তার জমির ওপরই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল ও বুয়েট। প্রথমদিকে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সামনে লেখা ছিল ‘রব্বি জিদনি ইলমা’। কিন্তু এখন আর সেই লেখাটা নেই।

তিনি বলেন, আপনারা একটু চিন্তা করে দেখেন তো, মুসলমানের দেওয়া জমিতে মুসলমানদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘রব্বি জিদনি ইলমা’ লেখাটা মুছে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, ‘কবি নজরুল ইসলাম হল’ সেখান থেকেও ইসলাম শব্দটা বাদ দেওয়া হয়েছে। এটা কি আমাদের সঙ্গে বৈষম্য নয়? এটা কি সম্প্রদায়িক নয়?

ব্রিটিশ আমল থেকে এই অঞ্চলের মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে মুফতি ফয়জুল করিম বলেন, বিভিন্ন ধরনের কৌশলে এ দেশ থেকে ইসলামকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে অনেক আগে থেকেই। ব্রিটিশরা এই ভূখণ্ড দখল করার পর তারা পরিকল্পনা এঁকেটে ছিল যে, তারা এই ভারতীয় উপমহাদেশের সকল মুসলমানদেরকে খ্রিষ্টান বানাবে। সেই পরিকল্পনার আলোকে প্রতি জুমার মসজিদে খ্রিষ্টান পাদ্রিরা বক্তব্য রাখতেন। এটা ব্রিটিশরা আইন করে বাধ্যতামূলক করে দিয়েছিলেন।

ইসলামি আন্দোলনের এই নেতা আরও বলেন, শুধু তাই না এদেশ স্বাধীন হওয়ার পরও এদেশের মানুষকে নাস্তিক বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আপনারা বইতে দেখেছেন ‘ দ্যা অরিজিন অব ম্যান’ মানুষের আদি উৎস। এই বিষয়টা নিয়ে গবেষণা চলতে পারে। আর এই গবেষণাটা হতে পারে বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে। যারা পিএইচডি করছেন তারা এই বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করতে পারেন। কিন্তু এরকম একটি বিষয় কি ষষ্ঠ শ্রেণিতে দেওয়া কোনো দরকার আছে? কমলমতি এসব বাচ্চাদের শিখানো হচ্ছে মানুষ মানুষ থেকে নয়, মানুষের জন্ম হয়ে জানোয়ার থেকে। একবার চিন্তা করে দেখুন তো; যদি আপনাদের মাথায় থাকে মানুষের জন্ম জানোয়ার থেকে হয়েছে তাহলে বলুন তো- কুরআন-হাদিস যদি বেটেও খাওয়ানো হয় আপনাদের মাথায় কি সেটাগুলো ধরবে!

সবশেষ তিনি বির্তকিত ট্রাসজেন্ডারের বিষয়টি বলেন, এখানেই তারা ক্ষ্যান্ত হননি। এরপর আবার তারা শুরু করেছে ট্রাসজেন্ডার ইস্যুটি নিয়ে। আমি যদি ভাবি আমি মেয়ে তাহলে আমি মেয়ে হয়ে যাবো! কি একটা বিষয় আপনারা ভাবতে পারেন? এই বিষয়টা প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। আর আমাদের বাংলাদেশে তো অলরেডি প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। এসব ব্যাপারে খুবই সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ