জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন বলেছেন, গণতন্ত্র মানে যা ইচ্ছে তা করা নয়। সংবিধানে এমন ক্ষমতা কাউকে দেওয়া হয়নি। যা ইচ্ছা তা করতে পারবে। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরেও আমাকে এসব দেখতে হচ্ছে। আমি মনে করি, এটা আমার জন্য বড় শাস্তি। গতকাল বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে জাতীয় আইনজীবী ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত আলোচনা সভায় ড. কামাল হোসেন এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, জামিনযোগ্য মানহানির মামলায় রাতে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার করে স্বৈরতন্ত্রের পরিচয় দেওয়া হয়েছে। আর গ্রেফতারের পর কোন গ্রাউন্ডে (যুক্তি) তাকে কারাগারে পাঠানো হলো আইনমন্ত্রীর কাছে এর জবাব চাই। বিনা কারণে কেন সরকার এসব করছে? এটা অত্যন্ত লজ্জাকর। দেশের অবস্থা বোঝার চেষ্টা কর। আমার এক বন্ধু সিনিয়র আইনজীবী আমাকে বলেছে, আওয়ামী লীগের নামে যা হচ্ছে তাতে কি বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে?
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর সরকার বিচলিত হয়ে পড়েছে। সরকার বুঝতে পেরেছে ঐক্যফ্রন্ট থাকলে তারা ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। গ্রাম পর্যন্ত ঐক্য হয়ে গেছে।
সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ঐক্যফ্রন্টে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন মইনুল হোসেন। জামিনযোগ্য মামলায় তাকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে এটা ঠিক হয়নি।
জাতীয় আইনজীবী ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি জয়নুল আবেদীনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন সুব্রত চৌধুরী, নিতাই রায় চৌধুরী, এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, সানাউল্লাহ মিয়া প্রমুখ।