• মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৩২ পূর্বাহ্ন

খারিজ হয়ে গেল ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা বাতিলের

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : রবিবার, ২০ আগস্ট, ২০২৩

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এই রায়ের ফলে শ্রম আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলা চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

আজ রোববার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন। ড. ইউনূসের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার অন্য তিন আসামি হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।

আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন। তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এ এম) আমিন উদ্দিন। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ খুরশীদ আলম খান।

গত ৮ আগস্ট ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলার অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে আবেদনে জারি করা রুল খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি সাহেদ নুর উদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রিটটি সরাসরি খারিজ করে রায় দেন।

ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে গত ১৩ আগস্ট আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার আদালত মামলাটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠান। তারই ধারাবাহিকতায় ১৭ আগস্ট শুনানি শেষে আজ আদেশের জন্য দিন ধার্য করা হয়।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ড. ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে তারা শ্রম আইনের কিছু লঙ্ঘন দেখতে পান। এর মধ্যে ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা থাকলেও তাদের স্থায়ী করা হয়নি। শ্রমিকদের অংশগ্রহণের তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি।

এ ছাড়া কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে মামলা হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ