• শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:১৩ অপরাহ্ন

নিজেদের দাবি করা প্রমাণই প্রত্যাহার করল ইসরাইল,

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৩

গাজা উপত্যকার আল-শিফা হাসপাতালের ভেতর থেকে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের অস্ত্র উদ্ধারের কিছু প্রমাণ-সংবলিত একটি এক্স (টুইটার) পোস্ট প্রত্যাহার করে নিয়েছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। কোনো ব্যাখ্যা ছাড়াই এই প্রত্যাহার অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। পোস্ট প্রত্যাহারের বিষয়টি ইসরাইলের হারেৎজ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।

হারেৎজ পত্রিকায় বলা হয়েছে, ইসরাইলি সামরিক বাহিনী তাদের পোস্ট ডিলিট করার কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি। বিশ্লেষকেরা ইসরাইলি সামরিক বাহিনী এবং আল-শিফা হাসপাতালে অভিযানের সময় তাদের সাথে থাকা ফক্স নিউজের সাংবাদিকের পোস্ট করা ছবিগুলোর মধ্যে বেশ কিছু অসঙ্গতি পেয়েছেন। ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লে. কর্নেল জোনাথন কনরিকাসের নতুন করে পোস্ট করা ভিডিওর কিছু অংশ ব্লার করা হয়েছে। এর ফলে এতে থাকা প্রমাণের সত্যতা নিয়ে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে।

উল্লেখ্য, ইউরো-মেডিটেরানিয়ান হিউম্যান রাইটস মনিটর নামের একটি গ্রুপ আগেই আশঙ্কা করেছিল যে গাজার বৃহত্তম হাসপাতাল আল-শিফা কমপ্লেক্সে প্রবেশ করার পর ইসরাইলি বাহিনী বাটোয়াট কাহিনী ফাঁদতে পারে। বুধবার সকালে ইসরাইলি বাহিনী হাসপাতালটির ভেতরে প্রবেশ করে। ওই গ্রুপটি জানায়, ইসরাইলি সেনাবাহিনী হাসপাতালের ভেতরের সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা সেখানে নিরপেক্ষ কোনো পর্যবেক্ষণ নেয়নি। ফলে সেখানে হামাসের কথিত সামরিক তৎপরতার কোনো কাহিনী বলা হলে তা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হওয়া স্বাভাবিক। গ্রুপটি জানায়, ইসরাইলি সেনাবাহিনী যত বেশি সময় কমপ্লেক্সটির ভেতরে থাকবে, ততই ‘কৃত্রিম দৃশ্যপট তৈরী’ হচ্ছে বলে বোঝাবে।

উল্লেখ্য, ইসরাইল দাবি করে আসছে যে আল-শিফা হাসপাতালের নিচে হামাসের গোপন সুড়ঙ্গ আছে। হামাস সেখানে তাদের হাতে আটক ব্যক্তিদের সেখানে রেখেছে বলেও দাবি করেছে। ইসরাইলের দাবির প্রতি সংশয়হীন সমর্থন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও। কিন্তু এখন পর্যন্ত ইসরাইল কোনো বন্দীকে উদ্ধারের তথ্য দিতে পারেনি। তাছাড়া অল্প কিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হলেও তা যে হামাসের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, সে দাবিও নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। অধিকন্তু, হামাস সদস্য হিসেবে বেশ কয়েকজনকে বন্দী করার দাবি করেছে ইসরাইল। কিন্তু হাসপাতাল সূত্র বলেছে, এসব লোক হাসপাতালে আশ্রয় নেয়া মানুষ।

উল্লেখ্য, ইসরাইলের সিভিল ডিপার্টমেন্টের প্রধান উপদেষ্টা গ্রিসা জানিয়েছেন, ১৯৮৩ সালে ইসরাইলিরাই এই হাসপাতাল বানিয়েছিল। তখন তারা নিজেদের নিরাপত্তার জন্য মাটির নিচে অপারেটিং রুম আর সুড়ং পথ বানিয়েছিল।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ