সরকারিভাবে ভারতকে সেনা সরানোর অনুরোধ করলেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজু। শুক্রবার প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিয়েছেন তিনি। তার পরেই ভারতকে সরকারিভাবে সেনা সরানোর কথা বললেন মালদ্বীপের ‘চীনপন্থী’ প্রেসিডেন্ট। যদিও এই প্রসঙ্গে ভারতের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি এখনও। উল্লেখ্য, নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন এই নেতা সাফ জানিয়ে দেন, মালদ্বীপে ভারতীয় সেনা থাকলে দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
গত শুক্রবার প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নিয়েছেন মুইজু। সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন ভূবিজ্ঞানমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। তার সঙ্গে দেখা করে কথাও বলেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। সেই সময়েই সরকারিভাবে সেনা সরানোর অনুরোধ করেন মুইজু। প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়, মালদ্বীপের সরকার সরকারিভাবে ভারত সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছে যেন সেদেশ থেকে সেনা সরিয়ে নেয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত মাসের শুরুতে নির্বাচনে জিতে প্রেসিডেন্টের কুরসিতে বসেছিলেন মুইজু। তবে প্রথম দিনই জানিয়েছিলেন, ‘আইন মেনে মালদ্বীপ থেকে সমস্ত বিদেশি সেনা সরিয়ে দেয়া হবে। সামরিক বাহিনীগুলি চায় না তাদের ফেরত পাঠানো হোক। কিন্তু মালদ্বীপের জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে।’ তার পরে সরাসরি ভারতের নাম করেই মুইজ্জু বলেন, ‘আমাদের দেশে ভারতের সেনাবাহিনী রয়েছে। কিন্তু তাদের ফিরে যেতে হবে।
বরাবরই চীনপন্থী হিসাবে পরিচিত মুইজু। তিনি মসনদে বসলে ভারতকে নিশানা করতে পারতেন এই আশঙ্কা ছিলই। ভারতের সেনা সরিয়ে চীনের প্রতি সমর্থন জানাবেন মুইজু, এই প্রশ্ন উঠছে দেশের অন্দরেই। তবে প্রেসিডেন্টের সাফ উত্তর, ‘চীন বা অন্য কোনও দেশের সেনাকেই মালদ্বীপে থাকার অনুমতি দেয়া হবে না।’ তবে ভারতের সেনা সরানো নিয়ে কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা জানায়নি মালদ্বীপ।