আহো ভাতিজা আহো, তোমার আশায় বইসা থাকতে থাকতে গানবাজনা কইরাও সময় কাটতাছে না’ বা ‘অই তুই আমার নাম নিলি ক্যান? অজু করছিস? বিশুর নাম নিলে অজু করতে হয়, জানস না?’ অথবা ‘সানডে মানডে ক্লোজ কইরা দে’—এমন অসংখ্য ‘শ্রেণিহীন’ সংলাপ আজও মানুষের মানুষের মুখে মুখে। যাঁর মুখ দিয়ে এসব সংলাপ বেরিয়েছিল, তিনি মনোয়ার হোসেন ডিপজল।
খলনায়ক হয়ে বুকে কাঁপনধরা ভাবমূর্তি দাঁড় করিয়েছিলেন। সেই ডিপজল ব্যক্তিজীবনে কেমন?
২০১৯ সালের অক্টোবরে গণমাধ্যমকে হেসে বলেছিলেন, ‘ব্যক্তিজীবনে আমি ডিপজল… কারো সাথে আমি কোনোদিন গালাগালিও করি নাই, কারো সাথে আমার ঝগড়াও হয় নাই। আমি ডিপজল ভিন্ন, অন্য দশজন থেকে ভিন্ন, মন-মানসিকতা ভিন্ন; আর ঝগড়া করব… বাইরে চলারও অভ্যাস নাই, বাহিরে কোনো হোটেল-রেস্টুরেন্টে যাইয়া খাইয়া হৈহুল্লোড় কোনোদিন করি নাই আর করার মন-মানসিকতাও হয় নাই।’
দেশে ডিপজলের প্রিয় খলনায়ক মিশা সওদাগর। আর দেশের বাইরে ভারতের বর্ষীয়ান অভিনেতা নানা পাটেকার।
অভিনয়ের বাইরে সামাজিক কর্মকাণ্ডের জন্যও বেশ নামডাক আছে ডিপজলের। তবু বিনয়ের সঙ্গে বললেন, এখন তেমন কর্মকাণ্ড নেই। মসজিদ-মাদ্রাসা-এতিমখানায় সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। যতদিন বেঁচে থাকবেন তাঁর সাহায্যের হাত অবারিত থাকবে, এই প্রতিশ্রুতি দিলেন জনপ্রিয় এ অভিনেতা।