অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, এটা সত্যি যে আমাদের অনেক কোটা রয়েছে, কিন্তু বেশির ভাগ সময় কোটা থেকে প্রয়োজনীয় লোক পাওয়া যায় না। তখন মেধা তালিকা থেকেই নিয়োগ দেওয়া হয়। সরকারি চাকরিতে নিয়োগ প্রাপ্তদের ৭৫ শতাংশই মেধার ভিত্তিতে নির্বাচিত হচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইআইডি ও কানাডীয় হাইকমিশনের উদ্যোগে বাজেটে কর্মসংস্থান বিষয়ে এক নীতি নির্ধারণী সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। এ সময় অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থনীতিতে যে পরিমাণ প্রবৃদ্ধি হচ্ছে সেই পরিমাণ কর্মসংস্থান হচ্ছে না। এখানে বড় ধরনের সমস্যা হলো ‘জবলেস গ্রোথ’। পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যে দেখা যায়, বেকারদের সংখ্যা বেড়েছে। আবার আমাদের কাছে ধাঁধার মতো মনে হচ্ছে যে কৃষি কাজ বা অন্যান্য সময়ে লোক পাওয়া যাচ্ছে না। কর্মসংস্থান ভালো মজুরির জন্য কম হচ্ছে কি না সে বিষয়টিও দেখতে হবে। আমরা আশা করছি কর্মসংস্থানহীন প্রবৃদ্ধির বিষয়ে অচিরেই কিছু পাবলিক ডিবেট শুরু হবে। পিআরআই, সিপিডির মতো গবেষণা প্রতিষ্ঠান তারাই হয়তো এ সব বিষয়ে আলোচনা শুরু করতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি বছর থেকে বাজেট বাস্তবায়নে কোনো ধরনের আমলাতান্ত্রিক জটিলতা থাকবে না। এখন থেকে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরাসরি বাস্তবায়ন করা হবে। উন্নয়ন প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নে জোর দেয়া হয়েছে। আগে অর্থছাড়ে মন্ত্রণালয়, সংশ্লিষ্ট বিভাগ, বাস্তবায়কারী সংস্থা অনেকগুলো ধাপ পেরিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু হতো। কিন্তু এখন যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রকল্প পরিচালকরাই ১ জুলাই থেকে অর্থ ছাড় করে কাজ বাস্তবায়ন করবে। আমি মনে করি এর সুফল অচিরেই পাওয়া যাবে। এর উদ্দেশ্যে হচ্ছে, বাজেট বাস্তবায়ন আরেকটু দ্রুত করা, আরেকটু সার্থক করা। তিনি বলেন, বিগত দশ বছরে বাজেটের আকার অনেক বড় হয়েছে কিন্তু বাস্তবায়ন হার তেমন বাড়েনি। বাজেট বাস্তবায়ন ৯২-৯৩ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশে নেমে গেছে। তবে ২০১৬-১৭ অর্থবছর বাস্তবায়ন হার বেড়েছে। বিশেষ করে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন ৯২ থেকে ৯৩ শতাংশ হয়েছে। এটা অত্যন্ত ভালো। বাজেট বাস্তবায়নের হার বাড়ছে।