• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:

বাজারদর: কমেছে পেঁয়াজের দাম, স্থিতিশীল সবজির বাজার

আপডেটঃ : শনিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

ঈদুল আজহার কয়েকদিন আগে রাজধানীর বাজারে হঠাৎ করেই বেড়ে যায় পেঁয়াজের সরবরাহ। ফলে এ সময় অন্যান্য মশলাজাতীয় পণ্যের দাম যখন বাড়তি তখন কমে যায় পেঁয়াজের দাম। ঈদের দুই সপ্তাহ পর আবারও দাম কমেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটির। বিশেষ করে আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে।
শুক্রবার রাজধানীর কাওরানবাজার, মোহাম্মপুর কৃষি মার্কেট ও শান্তিনগরসহ কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে পেঁয়াজের দামের এ তথ্য পাওয়া যায়। এ ছাড়া সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজারদর নিয়ে প্রতিবেদনেও পেঁয়াজের দাম কমার তথ্য জানানো হয়েছে।
রাজধানীর খুচরা বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি আমদানিকৃত পেঁয়াজ ২৫ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হয়। যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। এ ছাড়া দেশি পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়।
কাওরানবাজারের পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. আমজাদ বলেন, বাজারে আমদানিকৃত পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। এজন্য দাম কমতির দিকে।
দাম বেড়েছে আদার। বিশেষ করে আমদানিকৃত চীনা আদার দাম কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বর্তমানে দেশি নতুন আদা ১০০ টাকা, পুরনো দেশি আদা ১৫০ টাকা, চীনা আদা ১৩০ টাকা, ভারতীয় আদা ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা বলেছেন, কোরবানি ঈদ হওয়ায় ঈদের পরও মাংস রান্নার অন্যতম উপকরণ আদার চাহিদা রয়েছে। এজন্য দাম বেড়েছে।
এ ছাড়া সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের সবজির মধ্যে বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শিম ১০০ টাকা, পটল, চিচিঙ্গা ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, ঢেঁড়স ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, ঝিঙা ৪০ টাকা, কাকরল ৫০ টাকা, পেঁপে ২৫ থেকে ৩০ টাকা, আলু ২৫ টাকা, টমেটো ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কচুর মুখী, কচুর লতি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, বরবটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে দাম কমেছে কাঁচা মরিচের। প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। যা গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ২০ টাকা কম।
সবজির পাশাপাশি মাছের বাজারও স্থিতিশীল রয়েছে। খুচরা বাজারে বিভিন্ন ধরনের মাছের মধ্যে পাবদা ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা, চাষের পাঙ্গাস ১৪০ থেকে ১৭০ টাকা, কৈ ১৫০ থেকে ২’শ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, ট্যাংরা ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, শিং ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।  এছাড়া ইলিশের দাম মোটামুটি নাগালের মধ্যেই রয়েছে।  খুচরাবাজারে ৫’শ থেকে ৬’শ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৫০০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে এক কেজি বা তার চেয়ে বেশি ওজনের ইলিশের দাম তুলনামূলক বেশি। এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১হাজার ৩’শ থেকে ১ হাজার ৫’শ টাকায়।
এদিকে ঈদের পরপর ব্রয়লার মুরগীর দাম কমলেও এখন আবার বাড়ছে। কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগী বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা। এছাড়া প্রতি কেজি গরুর মাংস ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা, খাসীর মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ