একাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্যানেল প্রস্তুত করে ৮ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে পাঠানোর জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশন অনুযায়ী, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগে যত সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষকের প্রয়োজন হবে তার চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি লোকবল বাছাই করে ৮ নভেম্বরের মধ্যে নির্ধারিত ছকে ইসি সচিবালয় ও নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটে পাঠাতে হবে।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয় শাখার উপ সচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি সব জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়েছে।
আতিয়ার রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা (প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার) নিয়োগের প্যানেল প্রস্তুত ও অন্যান্য দায়িত্ব পালনে বিভিন্ন অফিস/প্রতিষ্ঠান থেকে জরুরি ভিত্তিতে কর্মকর্তা-কর্মচারির তালিকা সংগ্রহ করা প্রয়োজন।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এবার সাড়ে ছয় লাখ থেকে সাত লাখের মতো লোকবলকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্যানেল প্রস্তুত রাখা হবে। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের তালিকা থেকে রিটার্নিং অফিসার প্যানেল প্রস্তুত করবেন। তফসিল ঘোষণার ৩ দিনের মধ্যে এ প্যানেল কমিশনে পাঠাতে হবে।
ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা চূড়ান্ত নিয়োগের আগে তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণ কক্ষে ফলাফল, প্রতিস্থিতি প্রতিবেদন ও অন্যান্য কাজের জন্যও আলাদা তালিকা থাকবে। তাদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে ৪০ হাজার ১৯৯টি কেন্দ্রের জন্য ২ লক্ষাধিক ভোটকক্ষ থাকবে। প্রতিকেন্দ্রে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা একজন, সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা দুইজন এবং ভোটকক্ষ প্রতি ২ জন পোলিং অফিসার মিলিয়ে কেন্দ্রে প্রতি অন্তত ৮-১০ জন পোলিং অফিসার থাকবে। অতিরিক্ত আরও ৫০ হাজার লোকবল প্রস্তুত রাখা হবে।
সব মিলিয়ে ৭ লক্ষাধিক ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের জন্য প্রশিক্ষণ থাকবে মাঠ পর্যায়ে।