• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত বাংলাদেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে অথচ বিরোধী দল দেখে না গাজায় গণকবর থেকে প্রায় ৪০০ মরদেহ উদ্ধার দিনাজপুরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষে দুজনের মৃত্যু রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকে আঘাত করে না, হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিক্ষো হংকং, সিঙ্গাপুরের পর ইইউতে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে মিলেছে ক্যানসার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক থাইল্যান্ডকে অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগে প্রস্তাব, হতে পারে বাণিজ্য চুক্তি: প্রধানমন্ত্রী বন্যা-ভূমিধস তানজানিয়ায় নিহত অন্তত ১৫৫, আহত দুই শতাধিক ভর্তুকি কমিয়ে বিদ্যুৎ-গ্যাস-সারের দাম বাড়ানোর সুপারিশ আইএমএফ’র

‘সোনার বাংলা গড়তে অন্তর্ভুক্তিমূলক-টেকসই উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে হবে’

আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৮

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর এবং উন্নয়ন সমন্বয়ের চেয়ারম্যান ড. আতিউর রহমান বলেছেন, ‘গত এক দশকে আমাদের অর্থনীতিতে অভাবনীয় গতিশীলতা সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি তা আরও অনেক বেশি অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়েছে। সরকারের উদারনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতির কারণে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার এক অনন্য সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে’।
আজ মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) রাষ্ট্রবিজ্ঞান সমিতি আয়োজিত ‘উন্নয়নের রোল মডেল বাংলাদেশ: বর্তমান সরকারের মূল্যায়ন (২০০৯-২০১৮)’ শীর্ষক সেমিনারে মূল নিবন্ধ উপস্থাপনের সময় তিনি এ সব কথা বলেন। সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে।
ড. আতিউর বলেন, গত দশ বছরে বাংলাদেশের অকল্পনীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটেছে। যেমন: অর্থনীতির আকার চার গুণ বেড়েছে, প্রকৃত আয় বেড়েছে, ভোগ ব্যয় তিন গুণ হয়েছে এবং মোট বিনিয়োগ বেড়েছে চার গুণ। অর্থনৈতিক দিকে এই অভাবনীয় সাফল্যের সাথে সাথে বিভিন্ন সামাজিক সূচকেও বাংলাদেশ প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে। গত দশ বছরে দারিদ্র্য ৪৩ শতাংশ থেকে ২২ শতাংশে নামিয়ে আনার পাশাপাশি বাংলাদেশের নাগরিকদের গড় প্রত্যাশিত আয়ু ২০০৫ সালে ৬৫ বছর থেকে বেড়ে ২০১৬ সালে ৭৩ বছর হয়েছে
(দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে এই গড় এখনও ৬৯ বছর)। একইভাবে মাতৃ মৃত্যুহারও ৩৪৮ থেকে কমিয়ে ১৭০-এ নামিয়ে আনা গেছে (উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এই অনুপাত ২৩০ এরও বেশি)। শিশু মৃত্যুহারও উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমিয়ে আনা হয়েছে। মোট কথা, বাংলাদেশ গত দশ বছরে প্রমাণ করে দেখিয়েছে যে, একই
সঙ্গে ব্যাপক প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং বৈষম্য কমিয়ে আনা সম্ভব।
আগামীতে জাতীয় সামষ্টিক অর্থনৈতিক লক্ষ্যগুলো অর্জনের পথে চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে ড. আতিউর বলেন, প্রতি বছর ১৬ লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি, কৃষি উৎপাদন দ্বিগুণ করা, সুশাসনের ক্ষেত্রে আরও উন্নতি, এবং সকল ধরনের উগ্রবাদ মোকাবিলার মতো চ্যালেঞ্জগুলো খুবই গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে। পাশাপাশি সরকারকে আগামী বছরগুলোতে মেগা প্রকল্পগুলোর যথাযথ বাস্তবায়ন, কার্যকর মানবসম্পদ উন্নয়ন, সবুজ প্রবৃদ্ধি নিশ্চিতকরণ, কৃষির আধুনিকায়ন, এবং রপ্তানি বহুমুখীকরণের মতো বিষয়গুলো অগ্রাধিকার দিতে হবে বলে মনে করেন ড. আতিউর। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালীকরণ এবং দক্ষতা বৃদ্ধির দিকে মনোযোগ অব্যাহত রাখতে হবে যাতে করে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারিদের আকৃষ্ট করা যায়।
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল যদি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, তাহলে তা সত্যিই অভাবনীয় সুফল বয়ে আনবে অর্থনীতির জন্য।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ