শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, গত ১০ বছরে নারী শিক্ষায় বাংলাদেশে যুগান্তকারী অগ্রগতি হয়েছে।মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে।উচ্চশিক্ষায়ও মেয়েরা সমতা অর্জনের পথে। সব সেক্টরেই মেয়েরা আজ সমানভাবে কাজ করছে।
তিনি বলেন, সমান সুযোগ পেলে মেয়েরা পুরুষের পাশাপাশি যেকোনো চ্যালেঞ্জিং কাজ করতে সক্ষম। শিক্ষায় নারী-পুরুষের সমতা অর্জিত হয়েছে। নারীরা আজ সর্বত্র কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে।
আজ ঢাকায় গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের ৬-তলা নতুন একাডেমিক ভবনের নবনির্মিত উর্ধ্বমুখী বর্ধিত ৩-তলা এবং মেহেরুন্নেসা আইসিটি ল্যাবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শিক্ষাক্ষেত্রে যুগান্তকারী উন্নয়ন সাধন সম্ভব হয়েছে। মাত্র ১০ বছরে শিক্ষাক্ষেত্রে এমন পরিবর্তন পৃথিবীর আর কোন দেশে সম্ভব হয়নি। প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের শতকরা ৪০ জনকে বিভিন্ন ধরনের বৃত্তি-উপবৃত্তি দেয়া হয়। এর মধ্যে ৩০ জন ছাত্রী এবং ১০ জন ছাত্র। নারী শিক্ষার উন্নয়নে এ ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এছাড়া বছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীদেরকে বিনামূল্যে পাঠ্যবই দেয়া হচ্ছে। গত নয় বছরে এর ব্যত্যয় হয়নি। এবারও হবে না। বছরের প্রথমদিনেই শিক্ষার্থীরা নতুন বই পাবে।
নুরুল ইসলাম নাহিদ আরো বলেন, গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজকে একটি আধুনিক বিশেষায়িত কলেজ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এ কলেজের উন্নয়নে ইতোমধ্যে প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। আরো ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি ৬-তলা আবাসিক হল নির্মাণের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান অর্থবছরের মধ্যে সারাদেশে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় প্রায় ৩৩ হাজার ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষকতা পেশাকে ব্রত হিসেবে নিতে হবে। কারণ, শিক্ষকরাই ভবিষ্যতের জন্য দক্ষ ও যোগ্য মানুষ তৈরিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। তারাই নিয়ামক শক্তি।