• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:

তফসিল পেছানোর সুযোগ নেই : সিইসি

আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৮

তফসিল পেছানোর সুযোগ নেই। তবে সবদল চাইলে নির্বাচন পেছানো যেতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা।
আগারগাঁওস্থ ইটিআই ভবনে এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষে তিনি এ সব কথা বলেন। ইটিআই মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুকের সভাপতিত্বে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির এ অনুষ্ঠানে পরিচালক ফরহাদ হোসেনসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচন পেছানোর বিষয়ে সিইসি বলেন, তারা বলেছেন (ঐক্যফ্রন্টের নেতারা) ৭ তারিখে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপ রয়েছে। সেটি আমলে নিতে, আমরা সেটি নিয়েছি।
রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতকে গুরুত্ব দেবেন নাকি সংবিধানকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একক দল নয় বাংলাদেশের যত রাজনৈতিক দল আছে সবাই যদি বলে তাহলে নির্বাচন পেছানো যেতে পারে। জানুয়ারির ২৮ তারিখের মধ্যে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা আছে। এর মধ্যে সকল রাজনৈতিক দল যদি বলে নির্বাচন কয়েকদিন পিছিয়ে দেন তখন পিছিয়ে দেয়া যাবে।
২৮ জানুয়ারি তো দূরে আছে এ ক্ষেত্রে আপনাদের হাতে অনেকটা সময় আছে এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সিইসি বলেন, সময় থাকে না। কারণ নির্বাচনেরর জন্য জানুয়ারি মাসটা নানা কারণে ডিস্টার্ব মাস। জানুয়ারি মাসে বিশ্ব ইজতেমা হয়। আমি যতদূর জানি দুই দফায় এ কারণে ১৫ থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। এখানে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পুলিশ, র‌্যাব নিয়োগ করা হয়। ১ তারিখের পর থেকে স্কুলগুলো খোলা থাকে। এ ছাড়া এ সময়ে অনেক শীত ও কুয়াশা থাকে। এ জন্য চর ও হাওড় অঞ্চলে ঝুঁকি থাকে। সেকারণে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হওয়া উচিৎ বলে আমরা মনে করি।
বিএনপির গঠনতন্ত্রের বিষয়ে সিইসি বলেন, আমরা আদালতের নির্দেশনা পালন করবো। পোলিং এজেন্টদের তালিকা দিলে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হবে এমন আশংকা রয়েছে অনেক রাজনৈতিক দলের। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, তালিকা দিলে গ্রেপ্তার করা হবে এমন কোনো কথা নেই। তারপর তারা তালিকা দিলে দেবে না দিলে না দেবে। তারা যদি পোলিং এজেন্ট না পাঠান আমরা তো জোড় করে আনবো না।
তিনি বলেন, আতঙ্কের বিষয় আমি জানি না। এটা অমূলক বিষয়। আমাদের সব সময় নির্দেশনা থাকে অযথা কাউকে গ্রেপ্তার না করা, মামলা না দেয়া, হয়রানি না করার। এবার তাই থাকবে।
প্রশিক্ষণ উদ্বোধনকালে সিইসি বলেন, সীমিত আকারে শরাঞ্চলে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। তবে কোথায় ব্যবহার করা হবে এটি কমিশনের হাতে থাকবে না। দ্বৈবচয়নের মাধ্যমে এটি করা হবে।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, ইভিএম ব্যবহারে যদি দেখেন ভোটারদের স্বার্থ রক্ষা হচ্ছে না, তাহলে আমাদের জানাবেন। আমরা স্বার্থ রক্ষা না হলে ভোটারদের উপর এটি জোড় করে চাপিয়ে দেবো না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ