• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম:

২৪ ঘণ্টা নজরদারিতে থাকবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম

আপডেটঃ : সোমবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৮

নির্বাচনকে সামনে রেখে গুজব, অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র ঠেকাতে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ২৪ ঘণ্টা মনিটরিং করতে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ সোমবার মোবাইল অপারেটর, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি ও এনটিএমসির সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

তিনি বলেন, ভোটকে নিয়ে প্রপাগাণ্ডা, গুজব, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ বা বানচাল করার উদ্দেশ্যে ফেসবুকসহ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করলে সংশি­ষ্ট প্রতিষ্ঠানকে ২৪ ঘণ্টা মনিটরিংয়ের নির্দেশ দিয়েছি।

তিনি জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নজরদারিতে থাকবে। ফেইক আইডি থেকে প্রোপাগাণ্ডা করলে এবং চিহ্নিত করে অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সচিব জানান, সোশ্যাল মিডিয়া কোনোভাবেই বন্ধ করা যাবে না বলে মত দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।যারা গুজব ছড়াবে, সহিংসতা ও অপপ্রচার ছড়াবে তাদের বিষয়ে এনটিএমসি, বিটিআরসি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাইবার ক্রাইম ইউনিট মনিটরিং করবে। ইসিকে জানিয়েই দায়ীদের বির“দ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান সচিব।

সোমবারের সভায় ভোটকে সামনে রেখে নির্বাচন ভবনসহ সর্বত্র মোবাইল যোগাযোগ নিরবিচ্ছিন্ন রাখার পাশাপাশি ইন্টারনেটের পূর্ণমাত্রার গতি বজায় রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়। সভা উপলক্ষে ইসির প্রস্তুতকৃত কার্যপত্রে বলা হয়েছে, নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন ভবনে নিরবিচ্ছিন্ন মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা প্রয়োজন। গ্রামীণ ফোন ও টেলিটক বাংলাদেশ কর্তৃক নির্বাচন ভবনে স্থাপিত ইন্টারনাল নেটওয়ার্ক রক্ষণাবেক্ষণ: গ্রামীণ ফোন কর্তৃক নির্বাচন ভবনে ইন্টারনাল নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সেটআপ স্থাপন করা হয়েছে। নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে নেটওয়ার্ক খুবই দুর্বল যা দ্রুত সমাধান করতে হবে। এছাড়ও উক্ত সেটআপ-এ ব্যবহৃত নেওয়ার্ক সুইচসমূহ ভবনের সৌন্দর্য্যহানী হচ্ছে যা দ্রুত পরিবর্তন করা প্রয়োজন।

বিকালে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি), ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি), টেলিটক বাংলাদেশ, গ্রামীণ ফোন, বাংলালিংক, রবি ও এয়ারটেলের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে এ বৈঠক করেন। ৩০ ডিসেম্বর ভোটের তারিখ রেখে একাদশ সংসদ নির্বাচনের যে তফসিল নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে, তাতে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা এবং ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রত্যাহার করা যাবে। এরপর ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ হলে আনুষ্ঠানিক প্রচারে যেতে পারবেন প্রার্থীরা। আইন অনুযায়ী তার আগে ভোটের প্রচারের সুযোগ না থাকলেও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম, বিশেষ করে ফেইসবুককে নানাভাবে নির্বাচনী প্রচারে লাগানো হচ্ছে।

ইসি সচিব বলেন, ফেসবুকে প্রচারণার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ আচরণবিধির আওতায় নেই। প্রচারণা চালাতে পারবেন প্রার্থীরা। তবে তা প্রচারণা শুরুর পর। এর আগে প্রচারণা চালালে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, যে আইন রয়েছে। ডিজিটাল আইন হোক, আইসিটি আইন হোক যে আইন রয়েছে, যে আইন প্রযোজ্য হবে, সে আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আবার বৈঠক হবে বলে জানান ইসি সচিব। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, সাংবিধানিক পদ ব্যতিত অন্যান্য যে সমস্ত প্রতিষ্ঠানে যারা লাভজনক পদে রয়েছেন, তারা পদত্যাগ করে মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে হবে।

জাতীয় দলের ক্রিকেটার মাশরাফির ক্ষেত্রে কি হবে? তিনি তো অধিনায়ক, সরকার থেকে বেতন নেন। মাশরাফিকে জাতীয় দল থেকে পদত্যাগ করতে হবে কি না? এ বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, এটি সরকারি পদ নয়। রির্টানিং কর্মকর্তারা আইন অনুসরন করেই বাছাই করবেন। আমরা শুধু তাদের নির্দেশনা দিয়েছি যে সাংবিধানিক পদ ব্যাতিত অন্যান্য যে লাভজনক পদগুলো রয়েছে, সেটি থেকে পদত্যাগ করেই মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে হবে।

আজ সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে ওই ব্রিফিংয়ের সময় ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান,যুগ্মসচিব (আইন) সেলিম মিয়া, যুগ্মসচিব এসএম আসাদুজ্জামান আরজু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ