প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী বলেছেন, ১৯৫৫ সালের সাঁওতাল বিদ্রোহ না হলে আমাদের স্বাধীনতা আসতো না। সাঁওতাল বিদ্রোহই পাকিস্তানিদের বুঝিয়ে দিয়েছিল যে, আমাদের তীর-ধনুকের কাছে তোমাদের কামানের গুলি তুচ্ছ। বর্তমান সরকার সাঁওতাল কমিউনিটির উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।
শনিবার দুপুরে দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার ঐতিহাসিক কান্তনগর মন্দির প্রবেশ সড়ক-দ্বীপ-এ দেশের প্রথম সাঁওতাল বিদ্রোহ ও তেভাগা আন্দোলন বিপ্লবীদের স্মারক ভাস্কর্য উন্মোচন শেষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাঁওতাল বিদ্রোহ ও তেভাগা আন্দোলন বিপ্লবীদের স্মারক ভাস্কর্য উম্মোচন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আজিজুল ইমাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য নাজমুল হক প্রধান, উষাতন তালুকদার এমপি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নুরুল ইসলাম, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেন।
আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জনশীল গোপাল। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সর্বদলীয় সংসদীয় গ্রুপের সেক্রেটারি জেনারেল শিশির শীল, বাংলাদেশস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি (পলিটিক্যাল) রাজেশ উকি, দিনাজপুর জেলা প্রশাসক ড. আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর, পুলিশ সুপার সৈয়দ আবু সায়েম, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বজলুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুকুজ্জামান চৌধুরী মাইকেল, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসনে ইমাম নয়ন, দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বরুপ কুমার বকসী বাচ্চু, স্মারক ভাস্কর্য উন্মোচন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব ও দিনাজপুর নাট্য সমিতির সভাপতি চিত্ত ঘোষ, কাহারোল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মামুনুর রশীদ চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম ফারুক, বীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর ইসলাম নুর প্রমুখ।