আগামী মাস (অক্টোবর) থেকে সরকার দেশের সুপারশপগুলোতে পাটের ব্যাগ চালুর কার্যক্রম নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে উপদেষ্টার কার্যালয়ে বাংলাদেশ এগ্রো-প্রসেসরস’ অ্যাসোসিয়েশন (বাপা) এর প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাতকালে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত বলেন, সারাদেশে পাটের প্রচলন বাড়াতে হবে। আগামী মাস থেকে দেশের সুপারশপগুলোতে পাটের ব্যাগ চালুর কার্যক্রম নিয়েছে সরকার।
তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় সে লক্ষ্যে কাজ করছে। আমি চাই, দেশের সকলকে নিয়ে একযোগে এ কার্যক্রম সফল করতে। এত করে দেশে পাটের অভ্যন্তরীণ ভোগ বাড়বে। পাটের মোড়কের আইনের বাস্তবায়ন আরও আগে শুরু হওয়া উচিত ছিল, তাহলে এতদিনে পলিথিন ও প্ল্যাস্টিকের উপযুক্ত বিকল্প পাওয়া যেতো। পাটের অতীতের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে বহুমুখী পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাড়াতে হবে।
সাক্ষাতে বাংলাদেশ এগ্রো-প্রসেসরস’ এসোসিয়েশন কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যের মোড়কের বিষয়ে নানাদিক নিয়ে আলোচনা করেছেন। পণ্যের প্যাকেজিংয়ে প্লাস্টিক এর উপযুক্ত বিকল্প না থাকায় পাটের ব্যাগ চালুর কার্যক্রম বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জিং। এ সময় অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিগণ প্যাকেজিংয়ে পাটের ব্যাগের চাহিদামত সরবরাহ নিশ্চিত করার ব্যাপারে অনুরোধ জানান।
উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত বাংলাদেশ এগ্রো-প্রসেসরস’ অ্যাসোসিয়েশন এর দাবিগুলো গুরুত্ব দিয়ে শুনেন। উপদেষ্টা বলেন, আপনাদের দাবির বিষয়গুলো আমরা দেখবো। পাটজাত মোড়কের আইন বাস্তবায়ন পণ্যের বাজারজাতকরণ এবং দেশের রফতানিতে বিঘ্ন না ঘটায় সেদিকে নজর রাখা হবে। উপদেষ্টা এ সময় সভায় উপস্থিত বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এসোসিয়েশনের দাবিগুলোর বিষয়ে কার্যক্রম গ্রহণের নির্দেশনা দেন।
এসময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ পাটের ব্যাগ এর সরবরাহ নিশ্চিতে খুব শীঘ্রই এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনদের সাথে সমন্বয়ে বৈঠক করা হবে বলে নিশ্চিত করেন। পাটকে বহুমুখী ও যুগোপযোগী করে ব্যবহার করা যায় সেলক্ষ্যে সকলকে কাজ করার কথা জানান তিনি।
এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এন এম মঈনুল ইসলাম, বাংলাদেশ এগ্রো-প্রসেসরস’ অ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি এম এ হাশেম, সেক্রেটারি মো. ইকতাদুল হক, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।