• বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৩ পূর্বাহ্ন

গ্রাহককে মারধরের ঘটনায় স্টার কাবাব রেস্টুরেন্টের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার ১১

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : সোমবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৪

বনানী স্টার কাবাবে কাচ্চি বিরিয়ানির সঙ্গে পঁচা ও গন্ধযুক্ত টিক্কা দেওয়ায় প্রতিবাদ করায় গ্রাহককে ব্যাপক মারধর করার ঘটনায় বনানী থানায় মামলা হয়েছে। এ মামলায় ১১ জনকে গ্রেফতার করছে পুলিশ।

গ্রেফতাররা হলেন— স্টার কাবাব বনানী শাখার ম্যানেজার মো. মুসলিম (৪০), কাজী মো. সাগর (২২), মো. রাসেল (২২), মো. মোখলেছুর রহমান (২৭), মো. হৃদয় সরদার (২৫), অপু সর্দার (২৪), মো. হানিফ (৩২), মো. জামাল হোসেন (২২), মো. মোহন (২৩), দেলোয়ার হোসেন (৩৫) এবং মো. মিরাজ হাওলাদার (২০)।

সোমবার (৭ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বনানী থানার ওসি রাসেল সরোয়ার।

তিনি জানান, সেই ভুক্তভোগী বনানী থানা একটি মামলা করেছেন। মামলার পর রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে ১১ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

এর আগে রোববার রাতে গ্রাহককে ব্যাপক মারধর করার ঘটনায় বনানী থানায় মামলা করে ভুক্তভোগী।

মামলার এজহারে বলা হয়, দুপুরে ভুক্তভোগী এবং তার এক বন্ধু বনানী স্টার কাবাবে খেতে গিয়েছিলেন। এ সময় তাদেরকে কাচ্চির সাথে পঁচা ও গন্ধযুক্ত টিক্কা দেওয়া হয়। পরে তিনি বিষয়টি হোটেল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তার বন্ধু খাবারে গন্ধ হওয়ার অভিযোগ করলে স্টার কাবাবের ম্যানেজার তাকে বলেন, ‘জীবনে টিক্কা খাননি আপনি। এটা এমনই হয়।’ একপর্যায়ে তিনি বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করলে, আশপাশের আরও তিনজন গ্রাহকও একই অভিযোগ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কলিংবেল চেপে সব স্টাফকে জড়ো করেন ম্যানেজার। এ সময় ১৪/১৫ স্টাফ এসে আমাকে ধাক্কা ধাক্কি করে টেবিলে পাঠানোর চেষ্টা করে এবং দুর্গন্ধযুক্ত খাবার খাওয়ার জন্য বলে। আমি উক্ত দুর্গন্ধযুক্ত খাবার খেতে রাজি না হওয়ায় এবং পরিবর্তন করে দিতে বললে তারা আমাকে ঘিরে ধরে এবং বিভিন্ন ধরণের হুমকি দিতে থাকে।

তখন আমি তাদের ভয়ে দৌড় দিলে ম্যানেজারের নির্দেশে স্টাফরা আমাকে ধাওয়া করে এবং নিচতলায় গিয়ে আমাকে এলোপাথাড়ি কিলঘুসি মারতে থাকে। একপর্যায়ে তারা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার গলা চেপে শ্বাসরুদ্ধ করে। তখন আমি তাদের হাত রক্ষার জন্য পালিয়ে যেতে চাইলে তারা আমাকে পিছন থেকে স্বজোরে আমার পিঠে লাথি মারলে আমি রাস্তায় পড়ে যাই এবং আমার কপালের ডান পাশে গুরুতর রক্তাক্ত জখমপ্রাপ্ত হই। এ সময়ে স্টাফরা আমাকে এলোপাথাড়ি লাথি মারতে থাকে এতে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমপ্রাপ্ত হয়, আমি ডাক চিৎকার করতে থাকি। তখন এ রেস্টুরেন্টের গ্রাহকসহ অন্যান্য লোকজন এগিয়ে আসলে হোটেলের স্টাফরা ২য় তলায় চলে যায়। সে সময় আমার বন্ধু ফেরদৌস রাসেল বনানী থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং তাকে উদ্ধার করে তারা হাসপাতালে ভর্তি করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ