• বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:২৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
রাষ্ট্রপতিকে পদচ্যুত করতে ব্যারিকেড ভেঙে বঙ্গভবনে ডোকার চেষ্টা, গুলিবিদ্ধ ২ কোনও ঝগড়া নেই বাংলাদেশের সঙ্গে, আমরা ওদের ভালোবাসি : মমতা পরীক্ষা দিতে আসা ছাত্রলীগ নেতাকে আটকে পুলিশে দিলো বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা .নিজ জেলা পাবনায় রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে মশাল মিছিল মধ্যরাতে লাইভে এসে নাটকের সাদিয়ার নাটক নিয়ে মুখ খুললেন সেন্টমার্টিনগামী পর্যটকদের বিকল্প পথে চলাচলের পরামর্শ বইছে হিমেল হওয়া, ১৭ ডিগ্রিতে তাপমাত্রা নামল তেঁতুলিয়তে ছাত্রলীগ নেতা নিয়াজ হত্যায় দায়ে ২১ জনের যাবজ্জীবন হাসপাতালের বাঙ্কারে হিজবুল্লাহর বিপুল সম্পদের তথ্য প্রকাশ করল ইসরাইল হিজবুল্লাহর ব্যাপক হামলায় ইসরাইলে জরুরি অবস্তা জারি

রেল যোগাযোগ উন্নয়নে দাবিতে অবস্থান

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৪

গাজীপুর-ঢাকা রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নের ১০ দফা দাবিতে জয়দেবপুর রেলজংশনে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করেছে গাজীপুর ঐতিহ্য ও উন্নয়ন নামে একটি সংগঠন।

সোমবার সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচি চলাকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-রাজশাহী রুটে এক ঘন্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।

এসময় টঙ্গী, ধীরাশ্রম, গাজীপুর, শ্রীপুরসহ বিভিন্ন স্টেশনে ঢাকা ও উত্তরবঙ্গগামী বেশ কয়েকটি ট্রেন আটকা পড়ে।

সংগঠনের সভাপতি প্রকৌশলী মো. শামসুল হকের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ২৮নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা হাসান আজমল ভূইয়া, শিক্ষক নেতা আসাদুজ্জামান নূর, পেশাজীবি নেতা অধ্যাপক আসাদুজ্জামান আকাশ, বিএনপি নেতা কামরুল ইসলাম, গাজীপুর পূর্বাঞ্চল ঐক্য পরিষদের সভাপতি আলী আকবর, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতা ফারুক ইসলাম প্রমুখ।

তারা বলেন, জয়দেবপুর রেলস্টেশন রাজস্ব আদায়ে বাংলাদেশের মধ্যে চতুর্থস্থানে থাকলেও যাত্রী সেবা অত্যন্ত নিম্নমানের। জয়দেবপুর-কমলাপুর ও মধ্যবর্তী স্টেশনগুলোতে কমবেশি এক লক্ষ কর্মজীবীর প্রাত্যহিক যাতায়াত এবং শিল্প-অধ্যুষিত ৭০ লক্ষ জনসংখ্যার গাজীপুর মহানগরের প্রাণকেন্দ্র জয়দেবপুর স্টেশন থেকে ২০/২৫ হাজার যাত্রী দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে প্রতিদিন ট্রেনে যাতায়াত করে থাকে।

সড়ক পথের ভোগান্তির কারণে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত জনপ্রিয় হচ্ছে এবং ট্রেনের যাত্রীচাপ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অথচ অবহেলা, অব্যবস্থাপনা ও সীমাহীন দুর্নীতির কারণে সময়-সাশ্রয়ী, স্বাচ্ছন্দ্যময় ও সম্ভাবনাময় রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় যাত্রীরা প্রতিনিয়ত অসহনীয় বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে। পূর্ববর্তী সময়গুলিতে শত চেষ্টার পরও কোন বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। যাত্রীদের বিড়ম্বনা দিন দিন আরও বাড়ছে।

সংগঠনের ১০দফা দাবি হলো- গাজীপুর-ঢাকা বন্ধ রাখা মাসিক টিকেট ৪৫০টাকা পুনরায় চালু করা। তুরাগ ট্রেনে ৪টি মহিলা কোচসহ ১৬টি কোচ সংযুক্ত করে গাজীপুর-ঢাকা একাধিকবার চালানো। টাঙ্গাইল কমিউটার ও সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্র্রেন পুনরায় চালু করা এবং টঙ্গী ও তেজগাঁও স্টেশনে

স্টপেজ দিয়ে একাধিকবার চলাচল করা। যাত্রী সংখ্যা ও রাজস্ব আয় বিবেচনা করে গাজীপুরে সকল ট্রেনের যাত্রা বিরতি নিশ্চিত করা এবং আসন সংখ্যা ২’শ থেকে বাড়িয়ে ৩ হাজার করা। ভাড়ায় চালিত সকল ট্রেনের ইজারা বাতিল করে রেল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পরিচালনা করা।

গাজীপুর থেকে আসন বিহীন টিকিটের মূল্য এয়ারপোর্ট ও কমলাপুর যথাক্রমে ২০ ও ৩০ টাকা নির্ধারণ করা, টিকিট প্রাপ্তি সহজ করা ও যাত্রী হয়রানি বন্ধ করা।

যাত্রী চাহিদা থাকা সত্ত্বেও ঈশা খাঁ, ভাওয়াল ও নোয়াখালী এক্সপ্রেস ট্রেনগুলিকে ২/৩টি কোচ দিয়ে চালানো হচ্ছে। সকল ট্রেনে কমপক্ষে ১২টি বগি সংযুক্ত করা। ট্রেন ও প্লাটফরম হকার ও ভিক্ষুক মুক্ত রাখা। ঢাকা- গাজীপুর রেল-প্রকল্প দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন করা এবং জয়দেবপুর জংশন স্টেশনকে মানসম্মত ব্যবহার উপযোগী করা। জয়দেবপুর স্টেশন সংলগ্ন পশ্চিম দিকে বিকল্প বাইপাস সড়ক নির্মাণ ও বিআরটি টার্মিনালের সাথে সংযোগ স্থাপন করা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ