ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিবে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। এতে রাজধানী ও শহরতলীতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিজবুল্লাহ ইসরাইলের একটি গোয়েন্দা ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা করেছে। একইসাথে তারা তেল আবিবের শহরতলিতেও রকেট ছুড়েছে। এছাড়া উত্তর ইসরাইলের হাইফা নগরীর একটি নৌঘাঁটিতেও হামলা করেছে হিজবুল্লাহ। এতে জরুরি অবস্থা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
এদিকে, লেবাননে ইসরাইলের বিমান হামলায় বেসামরিক মানুষ নিহত ও বাস্তুচ্যুতির সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। জাতিসঙ্ঘের অফিস ফর দ্য কোঅর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্স (ওসিএইচএ) জানিয়েছে, হিজবুল্লাহর সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন শাখায় হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। হামলার আগে ওই ব্যাংকের শাখাগুলোর এলাকার বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। যার ফলে হাজারো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
রোববার রাতে বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিতে বিমান হামলায় ইউএনএফপিএর (ইউএন পপুলেশন ফান্ড) নারীদের জন্য তৈরি করা একটি নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রসহ একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ধ্বংস হয়ে গেছে।
নিরাপত্তাহীনতার কারণে বৈরুত, বেকা ও মাউন্ট লেবাননে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র এবং ভ্রাম্যমাণ প্রসূতি সেবাকেন্দ্রসহ ইউএনএফপিএর ১০টি পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেছে।
লেবাননের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত অক্টোবর থেকে হিজবুল্লাহ-ইসরাইল সংঘাতে ২ হাজার ৪০০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ১১ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি। বাস্তুচ্যুত এবং সঙ্ঘাতে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ১ দশমিক ২ মিলিয়ন মানুষ।