ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি কুয়েত সফরে জানান,ইরানের ওপর হামলার জন্য তার প্রতিবেশী দেশগুলো নিজেদের আকাশসীমা বা ভূমি ব্যবহারের অনুমতি না দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।এই তথ্য প্রকাশ করে তিনি কুয়েত সিটির এক সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন, ‘আমাদের প্রতিবেশীরা আমাদের আশ্বস্ত করেছে যে, ইরানের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের হামলায় তারা তাদের ভূমি বা আকাশসীমা ব্যবহার করতে দেবে না।
আরাগচি আরও জানান, ইরান মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলোর কার্যক্রম গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। ইসরাইল যদি ইরানের ওপর আক্রমণ চালায়, তাহলে তেহরান উপযুক্ত এবং কঠোর জবাব দেবে বলে সতর্ক করেছেন তিনি। ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইরানের এই শক্ত অবস্থান নতুন করে মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে উত্তেজনা বাড়িয়েছে।
ইরান গত ১ অক্টোবর ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। ইসরাইলের গাজা ও লেবাননে ইসরাইলি নৃশংসতার প্রতিবাদ হিসেবে এই হামলা সংঘটিত হয়। এরপর থেকে ইসরাইল পাল্টা আক্রমণের হুমকি দিয়ে আসছে। এর প্রেক্ষাপটে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ সফরে রয়েছেন। এর আগে তিনি বাহরাইন, সৌদি আরব, কাতার, ওমান, ইরাক, মিসর ও তুরস্ক সফর সম্পন্ন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ইসরাইলের প্রতি নতুন করে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন আরাগচি, বিশেষ করে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে আক্রমণ না করার জন্য। তিনি বলেন, ‘পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাত হানা শুধু একটি বড় ধরনের আন্তর্জাতিক অপরাধ নয়, বরং এর হুমকিও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের শামিল।’ ইরান তার পারমাণবিক স্থাপনাগুলো রক্ষার জন্য যথেষ্ট সক্ষমতা রাখে এবং সেই সঙ্গে আত্মরক্ষার সকল প্রস্তুতি রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ইসরাইল এবং ইরানের মধ্যে এই উত্তেজনা বাড়তে থাকায় মধ্যপ্রাচ্যের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক এবং সামরিক পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।