রংপুর অফিস॥ রংপুর অঞ্চলে এখন অগ্রহায়ণের মাঝামাঝি তাপমাত্রা কমে এসেছে। এ অঞ্চলে দিনে শীত স্বাভাবিক থাকলেও সন্ধা নামতেই কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে শহর বন্দর ও গ্রামাঞ্চল। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সুত্র বলেন, “এখন শীতকালের আবহাওয়া চলমান। শীত ওঠানামা হতে পারে। কুয়াশা বাড়বে, রাতে তাপমাত্রা কমবে। এখন উত্তরী হাওয়াও বইছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এখন দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এবং নদ-নদীর অববাহিকায় ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত হালকা-মাঝারি মাত্রার কুয়াশা থাকতে পারে। সব মিলিয়ে শুষ্ক আবহাওয়ায় কুয়াশার পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়ছে।
“কুয়াশা নদ-নদী অববাহিকায় বাড়বে এখন। তবে স্থান ভেদে কম-বেশি হতে পারে। ডিসেম্বরে শীতের তীব্রতা থাকবে বলে আভাস দেন আবহাওয়া অধিদপ্তর। ডিসেম্বরের শেষার্ধে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাসও রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসের বিষয়ে আবহাওয়ার অধিদপ্তরের বুলেটিনে জানানো হয়, ডিসেম্বরের শেষার্ধ্বে উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এক থেকে দুটি মৃদু ৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অথবা মাঝারি ৬-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
জানুয়ারি মাসে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে একটি মাঝারি ৬-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তীব্র ৪-৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস শৈত্য প্রবাহ এবং অন্যান্য স্থানে এক থেকে দুটি মৃদু বা মাঝারি শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে। শুষ্ক শীত মৌসুমে বায়ুর মানও বছরের যে কোনো সময়ের চেয়ে খারাপ অবস্থায় থাকে। বর্ষায় দেশের প্রধান শহরগুলোর বাতাস বেশ ভালো অবস্থায় থাকলেও শীতে এর বিপরিত।
পরিবেশবিদরা জানান, সহনীয় মাত্রার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি ভাসমান ক্ষতিকর বস্তুুকণা ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে বাতাসে বিরাজ করে, যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এই পরিস্থিতি বিশেষ করে শিশুদেও ও বয়স্কদের রোগাক্রান্ত হওয়া এড়াতে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
দিনে শীতের তীব্রতা তেমন না থাকলেও রাতে কনকনে শীত অনুভ’তির ঘটনায় নিম্ন আয়ের মানুষ অনেকটাই দিশেহারা। একদিকে খাবার সংগ্রহের অর্থ জোগান, অন্যদিকে শীত নিবারনের গরম কাপড় ও শীতের রাত কাটানোর বস্ত্র সংগ্রহ তৃনমুলের মানুষের জীবনে হিমশিম। এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রতিবছর সরকারী বেসরকারী পর্যায়ে গরম কাপড়ের সাহায্য পাওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকেন তারা। এবছর এখনও তেমন কাউকে বা সংস্থাকে শীতের কাপড় বিতরণ করতে এখনও দেখা যায়নি।
শীতবস্ত্র বিষয়ে রংপুর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ওয়াহেদুজ্জামান এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমাদের স্টকে শীতবস্ত্র আছে। সরকারীভাবে আর কোন শীতবস্ত্র বিষয়ে ঢাকায় এখনও চিঠি পাঠানো হয়নি।