ড্রোনের ক্রমবর্ধমান হুমকি থেকে দেশকে রক্ষা করতে সীমান্তজুড়ে বড় পরিসরে ‘অ্যান্টি ড্রোন ইউনিট’ বসাতে যাচ্ছে ভারত। গতকাল রবিবার রাজস্থানের যোধপুরে বিএসএফের ৬০তম প্রতিষ্ঠা দিবসের কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এ কথা বলেন। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।
অমিত শাহ বলেন, “আগামী দিনে ড্রোন হুমকি আরও বাড়তে পারে। তাই এখন থেকেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
সরকারের সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ডিআরডিও এবং বিভিন্ন গবেষণা বিভাগের সমন্বয়ে লেজার-সজ্জিত অ্যান্টি-ড্রোন গান মাউন্ট সিস্টেম তৈরি করা হয়েছে বলে জানান অমিত শাহ। তিনি বলেন, “পাকিস্তানের সঙ্গে পাঞ্জাব সীমান্তে এই অ্যান্টি ড্রোন ইউনিট বসানো হয়েছে। এটি ড্রোনের অনুপ্রবেশ ৫৫ শতাংশ ঠেকাতে পারে, যা আগের ড্রোনবিরোধী সিস্টেম থেকে ৩ শতাংশ বেশি উন্নত।”
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, সরকারি তথ্য অনুসারে, ২০১৩ সালে প্রায় ১১০টির তুলনায় চলতি বছর পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত থেকে ২৬০টিরও বেশি ড্রোন ভূপাতিত বা উদ্ধার করা হয়েছে।
অস্ত্র ও মাদক বহনকারী ড্রোন ব্যবহার ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে পাকিস্তানের সঙ্গে পাঞ্জাব সীমান্তে এবং খুব কম রাজস্থান ও জম্মুতে।
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সঙ্গে পুরো সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করতে কম্প্রিহেনসিভ সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলেও জানান অমিত শাহ।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “মোদি সরকার পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সংবেদনশীল সীমান্ত এলাকা পর্যবেক্ষণের জন্য একটি সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা সিস্টেম (সিআইবিএমএস) তৈরি করেছে, যা আগামীতে বাস্তবায়ন করা হবে।” তিনি জানান, ইতোমধ্যেই আসামের ধুবরি সিআইবিএমএসের পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে এবং এর প্রাথমিক ফলাফল খুবই আশাব্যঞ্জক।
মোদি সরকার সীমান্তের বেষ্টনী শক্তিশালী করা, ভারতীয় অংশে দুর্গম ১ হাজার ৮১২ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণসহ আরও বেশ কয়েকটি অবকাঠামো প্রকল্প নিয়েছে বলেও জানান ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।