চুরি করে নিয়ে যাওয়া বৈদ্যুতিক মিটারের পাশে পলিথিনে মুড়িয়ে রেখে গেছে চিরকুট। সেই মিটার ফেরত পেতে দেওয়া হয়েছে মোবাইল নম্বর। চিরকুটে থাকা নম্বরে কল করলে ৭-১০ হাজার টাকা চাওয়া হয়। নগদ বা বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর ১৫ মিনিটের মধ্যেই ফেরত পান চুরি যাওয়া মিটার।
মঙ্গলবার রাতে নাটোরের বাগাতিপাড়ার লোকমানপুরে এমন এক অভিনব চুরির ঘটনা ঘটে। বুধবার চুরি যাওয়া মিটার ফেরত পান।
ক্ষতিগ্রস্ত আসলাম উদ্দিন জানান, রাতে মিল বন্ধ করে তিনি বাড়ি যান। পরদিন সকালে মিলে এসে দেখেন মিটার নাই। পরে জানতে পারেন বাজারের দোকানি মিজানুর রহমান, শাহাদত হোসেনের আরও তিনটি মিটার নাই। তবে মিটারের নিচে পলিথিনে মোড়ানো একটি চিরকুট দেখতে পান।
চিরকুটের ভেতরে একটি কাগজে লেখা ছিল- ‘চুরি যাওয়া মিটার ফেরত পেতে ফোন করুন ০১৮৫৬৬৬৫৪৯২ নম্বরে’। ওই মোবাইল নম্বরটিতে কল দিলে তারা নগদের মাধ্যমে ৭ হাজার টাকা পাঠাতে বলে।
আরেক ক্ষতিগ্রস্ত আরিফুর রহমান বলেন, তার মিলের মিটার নাই দেখে চিরকুটে দেওয়া নাম্বারে যোগাযোগ করলে ৭ হাজার টাকা দাবি করে চোর চক্র। পরে দরকষাকষি করে সাড়ে ৫ হাজার টাকা ওই নম্বরে নগদের মাধ্যমে পাঠানো হয়। ১৫ মিনিট পরে বাড়ির পাশের খড়ির ঘরে মিটার আছে বলে জানালে সেখান থেকে মিটার পাওয়া যায়।
স্থানীয়রা বলছেন, একই রাতে একই বাজার থেকে চারটি বৈদ্যুতিক মিটার চুরি যায়। সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে একদল চোর চক্র এ কাজ করছে। এজন্য তারা প্রশাসনের কাছে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।
নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর বাগাতিপাড়া সাব-জোনাল অফিসের দয়িত্বে থাকা এজিএম (ওএন্ডএম) মঞ্জুর রহমান বলেন, বিষয়টি চুরির ঘটনা হওয়ায় তা থানা দেখবে। এফআইআর করে কপি অফিসে জমা দিলে মিটার সংযোগ দেওয়া হবে।
বাগাতিপাড়া মডেল থানার ওসি অমিনুল হক বলেন, বিষয়টি শুনেছি, তবে ভুক্তভোগী কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।