• রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:

যুদ্ধে ক্লান্ত সিরিয়া কোনো হুমকি নয় পশ্চিমাদের জন্য: জোলানি

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

সিরিয়ার সফল বিদ্রোহের নেতা আবু মুহাম্মদ আল জোলানি বলেছেন, সিরিয়া যুদ্ধে ক্লান্ত এবং দেশটি তার প্রতিবেশী দেশ বা পশ্চিমের জন্য কোনো হুমকি নয়। দামেস্কে প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে বসে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই কথা বলেন তিনি।

এই সময় সিরিয়ার ওপর আরোপিত সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য পশ্চিমাদের প্রতি আহ্বান জানান নতুন সিরিয়ায় বর্তমানে সবচেয়ে প্রভাবশালী এই নেতা।

জোলানি বলেন, অত্যাচারিত এবং অত্যাচারীর প্রতি একই আচরণ করা উচিত নয়, পূর্ববর্তী সরকারকে লক্ষ্য করে দেওয়া নিষেধাজ্ঞাগুলো তুলে নেওয়া উচিত।

দুই সপ্তাহরও কম সময়ে বাশার আল-আসাদের সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা বিদ্রোহীদের জোটের প্রভাবশালী দল হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) এই নেতা বলেন, এইচটিএস-কে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করা উচিত নয়। তিনি বলেন, এইচটিএস কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নয়।

জোলানি বলেন, এইচটিএস বেসামরিক লোক বা বেসামরিক এলাকা লক্ষ্য করে হামলা চালায়নি। বরং তারা নিজেদের আসাদ সরকারের অপরাধের শিকার হিসেবে মনে করে।

এইচটিএস জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাজ্যসহ অনেক দেশের দ্বারা সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত, কারণ তারা আল-কায়েদার একটি শাখা হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিল। তবে ২০১৬ সালে এইচটিএস আল-কায়েদা থেকে আলাদা হয়ে যায়।

সাক্ষাৎকারে সিরিয়াকে আফগানিস্তানের মতো বানানোর অভিযোগ অস্বীকার করে জোলানি বলেন, দুটি দেশের মধ্যে বড় পার্থক্য রয়েছে, তাদের ঐতিহ্যও ভিন্ন। আফগানিস্তান ছিল একটি গোত্রভিত্তিক সমাজ। সিরিয়ায় একটি ভিন্ন মানসিকতা বিরাজমান।

ইদলিব এইচটিএসের শাসনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, তারা নারীদের শিক্ষায় বিশ্বাস করেন। তিনি বলেন, ইদলিবে আমাদের আট বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, আমি মনে করি, সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীদের অংশগ্রহণ ৬০ শতাংশের বেশি।

তাদের শাসনাধিনে মদ্যপানের অনুমতি দেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক বিষয়ে আমি কথা বলার অধিকার রাখি না কারণ এগুলো আইনি বিষয়। একটি ‘সিরিয়ান লিগ্যাল কমিটি’ থাকবে যারা একটি সংবিধান রচনা করবে। তারাই সিদ্ধান্ত নেবে। এবং যে কোনো শাসক বা প্রেসিডেন্টকে আইন মেনে চলতে হবে।

সিরিয়ার নতুন শাসকরা আগামী কয়েক মাসে কী ধরনের পদক্ষেপ নেন, তা নির্ধারণ করবে তারা দেশটিকে কেমন বানাতে চান এবং কীভাবে শাসন করতে চান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ