এম,এ রউফ, সিলেট।।কয়েক বছর বন্ধ থাকার পর আবারও চালু হচ্ছে সরকারি মালিকানাধীন সিলেট টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড। সিলেট শহরতলির ইসলামপুরস্থ এ মিলটি পুনরায় চালুর নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়।
জানা যায়, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস কর্পোরেশনের নিয়ন্ত্রণাধীন সিলেট টেক্সটাইল মিলস ২০১২ সালের ২৫ মার্চ বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকে। পরবর্তীতে এ মিলটি বাংলাদেশ প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের (বর্তমানে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিডা) অধীনে চলে যায়।
তবে এ মিলটি দীর্ঘদিন ধরে লোকসানের ঘানি টানতে থাকায় ২০১৩ সালের এটি বিক্রি করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় প্রাইভেটাইজেশন কমিশন। ওই বছরের ৭ ডিসেম্বর সিলেটে এক সভায় মিলটি বিক্রির ঘোষণা দেয় কমিশন। ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই মিলটির স্থায়ী সম্পদের মূল্য ধরা হয়েছিল ২৬৬ কোটি ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা। তখন মিলটির দেনা ছিল ৮৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫৭ হাজার টাকা। ওই সময় ব্যবসায়ীরা বলেছিলেন, মিলটির সম্পদ বেশি এবং জমির মূল্য অত্যধিক দেখানো হয়েছে।
এদিকে, ২০১৪ সালের ২৩ জুলাই বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় ‘ভবিষ্যতে কোন কারখানা বিক্রয় বা হস্তান্তরের বিষয়ে প্রাইভেটাইজেশন কমিশনকে দায়িত্ব না দিয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় স্বাধীনভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে’ মর্মে সুপারিশ করা হয়। ওই বছরের ২১ আগস্ট কমিটির সভায় ‘বেসরকারি কমিশনে ইতোপূর্বে ন্যস্ত মিল-কারখানা এবং বস্ত্র ও পাট খাতের সমুদয় সম্পত্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ফিরিয়ে আনার জন্য আশু পদক্ষেপ নিতে হবে’ মর্মে সুপারিশ গ্রহণ করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার (২৯ নভেম্বর) অর্থনতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভার কমিটির বৈঠকে সিলেট টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডসহ পাঁচটি শিল্প প্রতিষ্ঠান পুনরায় চালু করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। ওইদিন অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভার কমিটির বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
এ বিষয়ে বস্ত্র ও পাট সচিব মো. ফয়জুর রহমান চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানগুলো অনেকদিন ধরে অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। ফলে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এজন্য আমরা শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ন্ত্রণ নিয়ে উৎপাদনে যেতে চাই।