আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের শাসনকে বৈধতা না দিতে মুসলিম নেতাদেরকে আহ্বান জানিয়েছেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মালালা ইউসুফজাই। তিনি বলেন, ‘সহজ কথায় বলতে গেলে আফগানিস্তানে তালেবান নারীদের মানুষ হিসেবে গণ্য করে না।
রবিবার পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে মুসলিম দেশগুলোর মেয়েদের শিক্ষাবিষয়ক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে মালালা একথা বলেন। ২৭ বছর বয়সী মালালা মুসলিম নেতাদের বলেন, “নারীদের পড়াশোনা ও কাজ করতে না দেওয়াসহ তালেবানের আরও যে নীতিমালাগুলো আছে, তাতে ‘ইসলামি কিছু’ নেই।”
তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তানে মেয়েদের পুরো একটি প্রজন্মের ভবিষ্যৎ কেড়ে নেওয়া হবে। মুসলিম নেতা হিসাবে আজ আপনাদের আওয়াজ তোলার সময় এসেছে, নিজের ক্ষমতাকে কাজে লাগান।’
মালালার মতে, তালেবান সরকার আবারও লিঙ্গ বৈষম্যমূলক একটি ব্যবস্থা তৈরি করেছে। যেসব নারী তালেবানের অন্ধকার আইনগুলো ভঙ্গ করে, তাদের মারধর, আটক এবং ক্ষতি করার মধ্য দিয়ে শাস্তি দেওয়া হয়। সরকার সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় ন্যায্যতার আড়ালে তাদের অপরাধ ঢেকে রাখে। অথচ এগুলো ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে যায় না।
উল্লেখ্য, মালালার বয়স যখন ১৫ বছর, তখন তিনি এক তালেবান বন্দুকধারীর হামলার শিকার হন। তিনি মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। নারী শিক্ষার পক্ষে কথা বলায় তাঁকে হামলার লক্ষ্য করা হয়েছিল। গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য মালালাকে যুক্তরাজ্যে নেওয়া হয়।
২০১২ সালের হামলার পর থেকে মালালা হাতে গোনা কয়েকবার পাকিস্তানে ফিরেছেন। এর মধ্যে প্রথমবার পাকিস্তানে ফিরেছিলেন ২০১৮ সালে। আর এবার আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে আবারও পাকিস্তানে ফিরেছেন।