ঢাকা ডায়নামাইটসের কাছে হেরে বিপিএলের পঞ্চম আসরের লিগ পর্ব শুরু করেছিল খুলনা টাইটান্স। গতকাল লিগ পর্বের শেষটা অবশ্য জয়ের আবিরে রাঙিয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ১৪ রানে হারিয়েছে খুলনা।
এই জয়ে দ্বিতীয় স্থানে থেকে প্লে-অফ খেলার আশা জিইয়ে রেখেছে খুলনা। ১২ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১৫। আজ ঢাকা ডায়নামাইটস-রংপুর রাইডার্স ম্যাচের রেজাল্টের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে খুলনাকে। ঢাকা জিতলেই তৃতীয় স্থানে চলে যাবে মাহমুদউল্লাহর দল। সে ক্ষেত্রে তাদের খেলতে হবে এলিমিনেটর। আর আজ রংপুরের জয় দ্বিতীয় স্থানে সংহত করবে খুলনার অবস্থান।
গতকাল প্রথমে ব্যাট করে ছয় উইকেটে ১৭৪ রান তুলেছে খুলনা। জবাবে সাত উইকেটে ১৬০ রানের বেশি যেতে পারেনি কুমিল্লা। ২১ বলে ৩৫ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হন খুলনার আরিফুল হক।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরুই পেয়েছিল খুলনা। নাজমুল শান্ত-ক্লিঙ্গারের জুটিতে ছয় ওভারে আসে ৫৫ রান। পাওয়ার প্লে’র শেষ বলে নাজমুল শান্ত ফিরেন ২১ বলে ৩৭ রান করে। কিছুটা ধীর গতিতে খেলা ক্লিঙ্গার থামেন ২৮ বলে ২৯ রান করে। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দলীয় ৯৫ রানে আউট হন। ২৩ রান করেন তিনি। পুরানও (৮) উইকেটে স্থায়ী হননি।
তারপরও খুলনা চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে সক্ষম হয়েছে আরিফুল হক ও কার্লোস ব্রাথওয়েটের ব্যাটে। আরিফুল ২১ বলে ৩৫ রান (৪ চার, ১ ছয়) করেছেন। ব্রাথওয়েট ১২ বলে করেছেন ২২ রান। বেনি হাওয়েল ৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। কুমিল্লার পক্ষে আল-আমিন ৫২ রানে তিনটি, শোয়েব মালিক ও সলোমন মিরে একটি করে উইকেট নেন।
আগেই প্রথম স্থান নিশ্চিত হয়ে যাওয়া কুমিল্লা এদিন বেশ নির্ভার ছিল। একাদশেও ছিল কয়েকটি পরিবর্তন। উইনিং কম্বিনেশন ভেঙে লিটন দাস, সাইফউদ্দিন, হাসান আলী, মুজিব জাদরানকে বিশ্রাম দিয়েছিল কুমিল্লা। বিপিএলে এবার প্রথম ম্যাচ খেলেছেন জিম্বাবুয়ের সলোমন মিরে, গ্রায়েম ক্রেমার, রকিবুল হাসান, মেহেদী হাসান রানার মতো তরুণরা। যার প্রভাব পড়েছে দলের পারফরম্যান্সেও। বোলিংয়ে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরতে ব্যর্থ হয় দলটি। ব্যাটিংটা জমাট হয়নি। চার অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানই রান তাড়ার মিশনে কুমিল্লার হয়ে লড়েছেন।
অধিনায়ক তামিম খেলেছেন ৩৩ বলে ৩৬ রানের ইনিংস। তিনে আসা ইমরুল ২০ রান করতে খেলেছেন ১৯ বল। বাটলার ফিরেছেন ১১ রান করে। মিডল অর্ডারে শোয়েব মালিক, মারলন স্যামুয়েলস পাল্টা আক্রমণ করেছেন। কিন্তু ১৭তম ওভারে শোয়েব মালিক আউট হলে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে কুমিল্লা। তিনি ২৩ বলে ৩৬, স্যামুলেয়স ১৬ বলে অপরাজিত ২৫, রকিবুল ১৭ রান করেন। খুলনার পক্ষে আবু জায়েদ-বেনি হাওয়েল দুটি করে উইকেট পান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
খুলনা টাইটান্স: ১৭৪/৬, ২০ ওভার (নাজমুল শান্ত ৩৭, আরিফুল হক ৩৫, ক্লিঙ্গার ২৯, মাহমুদউল্লাহ ২৩, ব্রাথওয়েট ২২; আল-আমিন ৩/৫২, সলোমন মিরে ১/৪, শোয়েব মালিক ১/২৫)
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স: ১৬০/৭, ২০ ওভার (তামিম ৩৬, শোয়েব মালিক ৩৬, স্যামুয়েলস ২৫*, ইমরুল কায়েস ২০, রকিবুল ১৭, বাটলার ১১; বেনি হাওয়েল ২/৩২, আবু জায়েদ ২/৩৫, ব্রাথওয়েট ১/১৫, মাহমুদউল্লাহ ১/২২, ইরফান ১/২৬)
ফল: খুলনা টাইটান্স ১৪ রানে জয়ী
ম্যাচ সেরা: আরিফুল হক (খুলনা টাইটান্স)