সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের দুই যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিহতদের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
নিহতরা হলেন- গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানাধীন পাইথল গ্রামের বদরুদ্দিন তোতা মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া (৩৮) ও নিগুয়ারী ইউনিয়নের কুরচাই গ্রামের আবু সাঈদের ছেলে ইকরাম হোসেন (২৫)। সুমন এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক ও ইকরাম এক সন্তানের জনক।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ২১ ডিসেম্বর সৌদি আরব সময় বেলা ১১টার দিকে মদিনা শহরে ময়লার গাড়িকে পেছন থেকে আরেকটি গাড়ি ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই চার বাংলাদেশি শ্রমিক নিহত হন।
নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, এক বছর আগে সংসারের হাল ধরতে সৌদি আরবের মদিনায় গিয়েছিলেন ইকরাম। অপরজন সুমন এক যুগ ধরে মদিনায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। সেখানে তারা রাস্তায় পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করতেন। ঘটনার দিন সকালে কাজ করে ময়লার গাড়িতে করে ৮ থেকে ১০ জন কর্মী নিজ বাসায় ফিরছিলেন। ফেরার পথে পেছন থেকে অন্য একটি গাড়ি ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ইকরাম ও সুমনসহ টাঙ্গাইলের আরও দুইজন মারা যান। এ সময় আহত হন আরও দুজন।
নিহত ইকরামের বাবা আবু সাঈদ বলেন, ছেলের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকেই বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। ছেলের মা বারবার মূর্ছা যাচ্ছে। ছেলের স্ত্রী রুনা শোকে পাথর হয়ে গেছে। কারও সঙ্গে কোনো কথা বলছে না। মরদেহ আনার জন্য কাগজপত্র তৈরি করছি।
নিহত সুমনের চাচা শাহিন মিয়া বলেন, দুই বছর আগে ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন সুমন। তার এমন মৃত্যু পরিবারের কেউ মেনে নিতে পারছে না। বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। স্ত্রী-সন্তানরা মরদেহের অপেক্ষায় রয়েছে।
নিহতদের পরিবার মরদেহ আনার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পাগলা থানার ওসি ফেরদৌস আলম।