মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর মর্যাদাপূর্ণ ও নিরাপদ প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর ব্যাপক দৃশ্যমান চাপ প্রয়োগে মুসলিম দেশগুলোর সংস্থা ওআইসি’র ১৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল আজ কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শুরু করেছে।
কর্মকর্তারা বলেছেন, রোহিঙ্গা অস্থায়ী আশ্রয় শিবিরগুলোতে মানবিক সংকট পর্যবেক্ষণে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) প্রতিনিধিদল মধ্যাহ্নে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় এই জেলায় পৌঁছেছেন। ওআইসি’র বিধিবদ্ধ অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইন্ডিপেনডেন্ট পার্লামেন্ট হিউম্যান রাইটস কমিশনের (আইপিএইচআরসি) চেয়ারম্যান ড. রশিদ আল বালুশি’র নেতৃত্বে সংস্থার নির্বাহীগণ এই প্রতিনিধিদলে রয়েছেন।
হাজার হাজার সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠী তাদের দেশ থেকে পালিয়ে উদ্বাস্তু হিসেবে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়ায় মিয়ানমারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদ জানাতে প্রাথমিক তথ্য পেতে ৪ দিনের সফরে প্রতিনিধিদল গতকাল ঢাকায় পৌঁছেছেন। ওআইসি’র সংখ্যালঘু, তথ্য এবং মানবাধিকার বিষয়ক বিভাগসহ ওআইসি সেক্রেটারিয়েট’র সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা প্রতিনিধিদলে রয়েছেন।
ওআইসি বুধবার এক বিবৃতিতে জানায়, ‘প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মানবিক সাহায্য এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। প্রতিনিধিদল তাদের রিপোর্ট ওআইসি মহাসচিব ড. ইউসেফ বিন আহমদ আল ওথাইমিনের কাছে পেশ করবেন।’
বালুশি গতকাল বুধবার ঢাকায় রিপোর্টারদের বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে বৈঠকের পরে বঞ্চিত নিপীড়িত জনগোষ্ঠীর নাগরিকত্বের অধিকারের ব্যাপারে ওআইসি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
বৈঠককালে প্রতিনিধিদল মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গত বছরের ২৫ আগস্ট সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে তাদের দেশ থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। কক্সবাজার সফর শেষে প্রতিনিধিদল শনিবার বাংলাদেশ ত্যাগ করবে। বাসস