রাজধানী ঢাকার অদূরে টঙ্গীর তুরাগ তীরে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব ইজতেমায় বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের যাতায়াত নির্বিঘ্নে করতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে বিকল্প সড়কে যানবাহন চলাচল এবং গাড়ি পার্কিংয়ের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমা গতবারের মতো এবারো দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তিনদিন ব্যাপী প্রথম পর্ব আগামী ১২ জানুয়ারি টঙ্গী তুরাগ তীরে শুরু হয়ে তা আখেরি মুনাজাতের মাধ্যমে ১৪ জানুয়ারি শেষ হবে। একইভাবে দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা আগামী ১৯ জানুয়ারি শুরু হয়ে তা ২১ জানুয়ারি শেষ হবে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সম্মানিত অতিথিবৃন্দসহ দেশের অভ্যন্তরের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মানুষের এ সময় টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে সমবেত হওয়ার কথা রয়েছে। ধর্মীয় জমায়েত নির্বিঘ্ন করতে ইতোমধ্যে সরকার ও আইন শৃংখলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ব্যাপক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
ডিএমপি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ বুধবার এ কথা বলা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আশুলিয়া হতে আব্দুল্লাহপুরগামী যানবাহনসমূহ আব্দুল্লাহপুর না এসে ধউর ব্রিজ ক্রসিং দিয়ে ডানে মোড নিয়ে মিরপুর বেড়িবাঁধ দিয়ে চলাচল করবে।
মহাখালী বাস টার্মিনাল হতে আব্দুল্লাহপুরগামী আন্তঃজেলা বাস, ট্রাক, কভার্ডভ্যানসহ সকল প্রকার যানবাহন মহাখালী ক্রসিং-এ বামে মোড় নিয়ে বিজয় সরণী-গাবতলী দিয়ে চলাচল করবে। কাকলী, মিরপুর হতে আগত যানবাহনসমূহ এয়ারপোর্টের দিকে না গিয়ে হোটেল রেডিসন গ্যাপ এবং কুড়িল বিশ্বরোডে ইউটার্ন করে বা ফ্লাইওভার হয়ে প্রগতি সরণী দিয়ে চলাচল করবে। প্রগতি সরণী হতে আব্দুল্লাহপুরগামী যানবাহনসমূহ বিশ্বরোড ক্রসিং-এ ইউটার্ন করে বা ফ্লাইওভার দিয়ে কাকলী-মহাখালী রোড ও মিরপুর ফ্লাইওভার দিয়ে চলাচল করবে।
ডিএমপি’র পক্ষ থেকে বলা হলো- আগামী ১৪ জানুয়ারি প্রথম পর্বের আখেরি মুনাজাতের দিন এবং ২১ জানুয়ারি দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মুনাজাতের দিন বিমানের অপারেশন্স ও বিমান ক্রু বহনকারী যানবাহন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স ব্যতিত সকল প্রকার যাবাহনের চালকগণকে বিমানবন্দর সড়ক পরিহার করে বিকল্প হিসেবে মহাখালী, বিজয় সরণী হয়ে মিরপুর-গাবতলী সড়ক ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
বিদেশগামী বা বিদেশ ফেরৎ যাত্রীদের বিমানবন্দরে আনা-নেয়ার জন্য ট্রাফিক উত্তর বিভাগের ব্যবস্থাপনায় ৪টি বড় আকারের মাইক্রোবাস নিকুঞ্জ-১ আবাসিক এলাকার গেইটে ভোর ৪টা হতে মোতায়েন থাকবে। ট্রাফিক সম্পর্কিত যে কোন তথ্যের জন্য সিনি. এসি, উত্তরা ট্রাফিক জোন, মো. জিন্নাত আলী মোল্লা ০১৭১৩৩৯৮৪৯৮ এবং টিআই, উত্তরা ট্রাফিক জোন, মো. মাহফুজার রহমান ০১৭১১৩৬৬৫৬১ নম্বরে
যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, রেইনবো ক্রসিং হতে আব্দুল্লাহপুর হয়ে ধউর ব্রিজ পর্যন্ত এবং রামপুরা ব্রিজ হতে প্রগতি সরণী পর্যন্ত রাস্তা ও রাস্তার পার্শ্বে কোন যানবাহন পার্কিং করা যাবে না। ইজতেমায় আগত সম্মানিত মুসল্লিদের যানবাহনসমূহ নিম্ন বর্ণিত স্থান সমূহে (বিভাগ অনুযায়ী) যথাযথভাবে পার্কিং করবেন।
চট্টগ্রাম বিভাগ পার্কিং: গাউসুল আজম এভিনিউ (১৩ নং সেক্টর রোডের পূর্ব প্রান্ত হতে পশ্চিম প্রান্ত হয়ে গরীবে নেওয়াজ রোড)।
ঢাকা বিভাগ পার্কিং: সোনারগাঁও জনপথ চৌরাস্তা হতে দিয়াবাড়ী খালপাড় পর্যন্ত।
সিলেট বিভাগ পার্কিং: উত্তরাস্থ ১২ নং সেক্টর শাহমখদুম এডিনিউ।
খুলনা বিভাগ পার্কিং: উত্তরাস্থ ১৬ ও ১৮ নং সেক্টরের খালি জায়গা।
রংপুর,রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগ পার্কিং: প্রত্যাশা হাউজিং।
বরিশাল বিভাগ পার্কিং: ধউর ব্রিজ ক্রসিং সংলগ্ন বিআইডব্লিউটিএ ল্যান্ডিং স্টেশন।
ঢাকা মহানগরী পার্কিং: উত্তরাস্থ শাহজালাল এভিনিউ, নিকুঞ্জ-১ এবং নিকুঞ্জ-২ এর আশপাশের খালি জায়গা।
নির্ধারিত পার্কিং স্থানে মুসল্লিবাহী যানবাহন পার্কিং এর সময় অবশ্যই গাড়ির চালক অথবা হেলপার গাড়িতে অবস্থান করবেন এবং মালিক ও চালক একে অপরের মোবাইল নম্বর নিয়ে রাখবেন, যাতে বিশেষ প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে পারস্পরিক যোগাযোগ করা যায়।
শুধুমাত্র আখেরি মোনাজাতের দিন আগামী ১৪ জানুয়ারি ও ২১ জানুয়ারি ভোর ৪ টা হতে মহাখালী ক্রসিং, হোটেল রেডিসন গ্যাপ, প্রগতি সরণী, কুড়িল ফ্লাইওভার লুপ-২, ধউর ব্রিজ ও বেড়িবাঁধ সংলগ্ন উত্তরা ১৮নং সেক্টরের প্রবেশ মুখে গাড়ি পার্কিং করা যাবে। বাসস।