• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৭ পূর্বাহ্ন

সর্বজনীন উন্নয়ন সূচকে এশিয়ায় চীনের পর বাংলাদেশ

আপডেটঃ : বুধবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১৮

বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের সর্বজনীন উন্নয়ন সূচকে ভারত ও পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। এশিয়ায় চীনের পরই বাংলাদেশের অবস্থান। সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ফোরামের আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হওয়ার আগ মুহূর্তে সূচক প্রকাশ করা হয়। অন্যদিকে অক্সফাম জানিয়েছে, বিশ্বে ২০১৭ সালে তৈরি হওয়া ৮২ ভাগ সম্পত্তি কুক্ষিগত ১ শতাংশের হাতে যেখানে সবচেয়ে গরিব ৩৭০ কোটি জনের সম্পত্তি প্রায় বাড়েইনি।
সোমবার ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্স বা আইডিআই প্রকাশ করে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম। গত বছরই ফোরাম প্রথম এই ধরনের রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল। ২৩-২৬ জানুয়ারি সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলন। সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীসহ বিশ্ব নেতারা অংশ নিচ্ছেন। সম্মেলন শুরুর আগে প্রকাশিত আইডিআই রিপোর্টে সর্বজনীন বিকাশের নিরিখে বিভিন্ন দেশের ক্রমতালিকা দেওয়া হয়েছে। তাতে উন্নয়নশীল ৭৪টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান শেষ দিকে ৬২ নম্বরে। চীন আছে ২৬ নম্বরে। বাংলাদেশ ৩৪, শ্রীলঙ্কা ৪০ এবং পাকিস্তানের অবস্থান ৪৭।
১০৩টি দেশকে দুটো ভাগে ভাগ করে আলাদা আলাদা তালিকা তৈরি করা হয়েছে। একদিকে আছে ৭৪টি উন্নয়নশীল দেশ। অন্যদিকে ২৯টি উন্নত দেশ। উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে প্রথম স্থানে লিথুয়ানিয়া। দু’নম্বরে হাঙ্গেরি, তিনে আজারবাইজান, চারে লাতভিয়া এবং পাঁচ নম্বরে পোল্যান্ডের নাম। উন্নত দেশগুলোর তালিকায় প্রথমেই নরওয়ে। গতবারের চার নম্বর থেকে এবারের তালিকায় দুয়ে উঠে এসেছে আইসল্যান্ড। আমেরিকা ২৩ নম্বরে। জার্মানি ১২, ফ্রান্স ১৮, ব্রিটেন ২১, জাপান ২৪ এবং ইসরাইলের মতো দেশ ২৫ নম্বরে আছে।
মূলত তিনটি স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়েই এই সর্বজনীন উন্নয়নের সূচক নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথম স্তম্ভের সূচক উন্নয়ন। সাধারণ মানুষ কতটা উন্নয়নের সুফল পেয়েছেন বা উন্নয়নের আওতায় সামগ্রিকভাবে কতজনকে আনা সম্ভব হয়েছে তার ভিত্তিতেই দ্বিতীয় স্তম্ভের সূচক নির্ধারিত হয়েছে। তিন নম্বর স্তম্ভটির সূচক আরো ব্যক্তিগত স্তরে নামিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে দেখা হয়েছে, একজন নাগরিকের ছেলে বা মেয়ে কত বছর বেকার থাকছেন। কতদিন পর্যন্ত সেই ছেলে-মেয়ে বাবা-মায়ের উপর নির্ভরশীল। ওই ব্যক্তির সঞ্চয়ের পরিমাণ কী রকম। নাগরিক সুবিধা দিতে গিয়ে ব্যক্তিপিছু কী পরিমাণ ঋণ নিতে হচ্ছে সরকারকে। এনডিটিভি ও আনন্দবাজার পত্রিকা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ