• বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৪ অপরাহ্ন

‘ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তদের মতো নির্জন কারাবাসে খালেদাকে রাখা হয়েছে’

আপডেটঃ : শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে নির্জন কারাবাসে রাখা হয়েছে। সেখানে স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে না। একটি পরিত্যক্ত ভবনে তাকে রাখা হয়েছে। সেখানে কোনও মানুষ নেই, অন্য আসামিও নেই। যেভাবে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তদের নির্জন কারাবাসে রাখা হয়, সেভাবেই তাকে রাখা হয়েছে। তাকে জনবিচ্ছিন্ন করার জন্য এ ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিন বারের একজন প্রধানমন্ত্রীকে ডিভিশন না দিয়ে এভাবে কারাগারে রাখার বিষয়টি মানবাধিকার লঙ্ঘন ও আইন পরিপন্থি কাজ। যত দ্রুত সম্ভব খালেদা জিয়াকে নির্জন কারাবাস থেকে স্বাভাবিক কারাগারে রাখা এবং সেখানে তাকে সব সুযোগ-সুবিধা প্রদান করতে সরকারের কাছে দাবি জানান তিনি।
তিনি বলেন, দুর্নীতির মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডের আদেশ রাজনীতির মোড় ঘুরিয়ে দেবে। মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়া হয়েছে। এটাই হবে আমাদের টার্নিং পয়েন্ট। এর প্রতিক্রিয়া ব্যাপক ও গভীর হবে। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে জনগণকে সাথে নিয়ে আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাবো। সরকারের সব অপরাধের জবাব আগামী নির্বাচনে জনগণ ব্যালটের মাধ্যমে দেবে।
শনিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে খালেদা জিয়াকে অন্যায় ও বেআইনিভাবে সাজা প্রদান বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছিল বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।
মওদুদ আহমদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার এই কারাবরণ মিথ্যা মামলার উপর ভিত্তি করে। ভুয়া ও বানোয়াট একটি অভিযোগে তাকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এটা হবে আমাদের রাজনীতির জন্য টার্নিং পয়েন্ট। সরকারের এটা একটি পলিটিক্যাল ব্লান্ডার।
এই রায় কীভাবে ‘টার্নিং পয়েন্ট’ হবে তার ব্যাখ্যা দিয়ে মওদুদ বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। সরকার যে অপরাধ করেছে তার উত্তর আগামী নির্বাচনে দেশের মানুষ ব্যালটের মাধ্যমে দেবে।
শেষ পর্যন্ত দুই কোটি টাকার দুর্নীতি?
ক্ষমতায় থাকাকালে খালেদা জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের তোলা দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়টি উল্লেখ করে মওদুদ আহমদ বলেন, এই সরকারের প্রপাগান্ডা চালিয়ে আসছে যে, বেগম জিয়া নাকি হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছেন। সরকারের লোকজন বেগম জিয়ার কথা, তার পরিবারের সদস্যের কথা বলেছেন। অথচ শেষ পর্যন্ত মামলা পেলেন দুই কোটি টাকার। তাও আবার সরকারি টাকা না। যা এখন বেড়ে ছয় কোটি টাকা হয়ে গেছে। একটা পয়সাও ওখান থেকে কেউ নেয়নি। খালেদা জিয়াকে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে সাজা দেয়া হয়নি জানিয়ে মওদুদ বলেন, দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায়। সেটা হলো ক্রিমিনাল ব্রিচ অব কন্ডাক্ট। ৪০৯ ধারায় সাজা দেয়াতো অসম্ভব ব্যপার। এতে আমরা অবাক হয়েছি। আমরা বিস্মিত হয়েছি। এ মামলায় কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণ নেই।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট শাখার সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ফোরামের সম্পাদক ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, বদরুদ্দোজা বাদল,সানাউল্লাহ মিয়া,ফোরামের নেতা আবেদ রেজা, উম্মে কুলসুম রেখা প্রমুখ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ