মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, অবহেলার কারণে কোন নবজাতকের মৃত্যু হলে সেটিও মানবাধিকারের চরম লংঘন। ডাক্তারের অবহেলায় বা অসতর্কতায় নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনা প্রায়ই সংবাদের শিরোনাম হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে নবজাতকের মৃত্যু রোধ করা সম্ভব কিন্তু তা করা হয়নি, এটাও এক ধরনের সহিংসতা। নব জাতকরা অতিমাত্রায় নাজুক তাই নবজাতকের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
আজ রবিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ নিওনেটোল ফোরাম (বিএনএফ) আয়োজিত ৫ম আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনএফ’র সভাপতি অধ্যাপক ডা. সুফিয়া খাতুনের সভাপতিত্বে এ সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ফোরামের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ মান্নান, বিশেষ অতিথি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা, অধ্যাপক ডা. নাজমুন নাহার এবং অধ্যাপক ডা. এমকিউ-কে তালুকদার, মো. আবিদ হোসেইন মোল্লা প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা, সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড ও ইন্ডিয়া থেকে আগত নামকরা নবজাতক বিশেষজ্ঞগণ বিভিন্ন বিষয়ে বৈজ্ঞানিক বার্তা প্রদান করেন। ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ৭ শতাধিক চিকিৎসকএই বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। এ সম্মেলনের শিরোনাম হলো এনশিওর কোয়ালিটি কেয়ার : এন্ড প্রিভেনটেবল নিউবর্ন ডেথ’।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের নবজাতকের সেবা নিশ্চিত করতে ১৯৯৮ সালে এ ফোরাম যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এই ফোরাম বাংলাদেশ সরকার, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং দাতা সংস্থার (ইউএসএআইডি, ইউনিসেফ, ব্র্যাক, সেভ দ্যা চিল্ড্রেন) পারস্পরিক সহযোগিতায় নবজাতকের সেবা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত আছে।
সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী অতিথিরা বলেন, বাংলাদেশ গ’দু দশক যাবৎ শিশু স্বাস্থ্যে ব্যাপক উন্নতি সাধন করেছে। মিলেনিয়াম ডেভলপমেন্ট গোল নির্ধারিত সময় সীমার আগেই অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু যে হারে ৫ বছর বয়সের নিচের শিশুর মৃত্যুহার হ্রাস পেয়েছে, সে তুলনায় নবজাতকের মৃত্যুহার হ্রাস পেয়েছে অনেক কম বলে তারা জানান।
বক্তারা জানান, বর্তমানে বাংলাদেশে ৫ বছর বয়সের নিচে যে সকল শিশু মারা যায় তার প্রায় ৬০ শতাংশ নবজাতক। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য বাংলাদেশে ২০৩০ সালে মধ্যে প্রতি হাজার জীবিত জন্মে নবজাতকের মৃত্যুহার ১২ জনে নামিয়ে আনতে হবে। বাসস।