প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীর মুক্তিযোদ্ধা বীর প্রতীক কাঁকন বিবির মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
বৃহস্পতিবার এক শোক বার্তায় শেখ হাসিনা একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে এই অগ্নিকন্যার ভূমিকা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। কাঁকন বিবি মাত্র তিনদিন বয়সী মেয়েকে রেখে যুদ্ধে অংশ নেন। পাক বাহিনীর হাতে নির্যাতিতা এই বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। গুপ্তচরের কাজও তিনি করেন। প্রধানমন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
বুধবার রাতে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন একাত্তরে অনন্য সাহসের দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী মুক্তিযোদ্ধা কাকন বিবি। তিনি ২০টি যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৯৬ সালে তাকে বীরপ্রতীক খেতাব দেয়া হয়।
কাকন বিবি খাসিয়া সম্প্রদায়ের এক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈত্রিক বাড়ি ভারতের খাসিয়া পাহাড়ের পাদদেশের এক গ্রামে। ১৯৭০ সালে দিরাই উপজেলার শহীদ আলীর সঙ্গে কাকনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তার পরিবর্তিত নাম হয় নুরজাহান বেগম। তার বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ঝিরাগাঁও গ্রামে।