বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের স্বাস্থ্য ক্যাডারে চিকিৎসকদের জন্য ৩৯তম বিশেষ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
রবিবার বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের ৪৭তম প্রতিষ্ঠা দিবসে আলোচনা সভায় ৩৯তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ঘোষণা দেন পিএসসির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক।
বিকালেই কমিশনের ওয়েবসাইটে সহকারী সার্জনের শূন্যপদে ৪ হাজার ৫৪২টি এবং সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে ২৫০টি শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, অনলাইনে ১০ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে আবেদন গ্রহণ ও ফি দেয়া শুরু হয়ে চলবে ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। প্রার্থীদের ২১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৩২ বছর বয়স হতে হবে। টেলিটক মোবাইলে আবেদন ফি দেয়া যাবে। সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৭০০ টাকা এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের ১০০ টাকা জমা দিতে হবে। লিখিত পরীক্ষা জুলাই মাসে শুধু ঢাকা কেন্দ্রে হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
৩৯তম বিশেষ বিসিএসে এমসিকিউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এতে ২০০ নম্বরের প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে দুই ঘণ্টায়। এ ছাড়া ১০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা হবে।
সংশোধিত বিধিমালা অনুযায়ী, মেডিকেল সায়েন্স বা ডেন্টাল সায়েন্স বিষয়ে ১০০ নম্বর; বাংলা, ইংরেজি, বাংলাদেশ বিষয়াবলী ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলীতে ২০ নম্বর করে এবং মানসিক দক্ষতা ও গাণিতিক যুক্তিতে ১০ নম্বর করে মোট ২০০ নম্বরের দুই ঘণ্টার এমসিকিউ ধরনের লিখিত পরীক্ষা হবে। ২০০টি প্রতি এমসিকিউ প্রশ্নের সঠিক উত্তরের জন্য এক নম্বর দেয়া হবে। তবে প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য শূন্য দশমিক ৫০ নম্বর কাটা যাবে। মৌখিক পরীক্ষার পাস নম্বর ৫০।
পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আইম নেছার উদ্দির ইত্তেফাককে বলেন, লিখিত পরীক্ষায় পাস নম্বর পিএসসি নির্ধারণ করবে। ১০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষার পাস নম্বর ধরা হয়েছে ৫০। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় পৃথক পাস করতে হবে। লিখিত পরীক্ষা শুধু ঢাকায় হবে। মৌখিক পরীক্ষা পিএসসির প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, সাধারণত বিসিএসে ২০০ নম্বরের জন্য চার ঘণ্টার এবং ১০০ নম্বরের জন্য তিন ঘণ্টার লিখিত পরীক্ষা হয়। সাধারণ ক্যাডারে নিয়োগে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণের পর ২০০ নম্বরের মৌখিকসহ মোট ১১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় বসতে হয় সরকারি চাকরিপ্রার্থীদের। আর সাধারণ ক্যাডারের বাইরে অন্য কোনো ক্যাডারে পরীক্ষায় অংশ নিতে চাইলে সংশ্লিষ্ট পদ বা সার্ভিসের জন্য প্রাসঙ্গিক বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হয়। সাধারণত লিখিত পরীক্ষার গড় ন্যূনতম পাস নম্বর ৫০ শতাংশ। আর ২০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষার পাস নম্বর ৫০ শতাংশ।