চরের মানুষ দুঃখী মানুষ। সব হারিয়েও মানুষগুলো সামান্য প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা পেলে অসাধ্য সাধন করতে পারেন। নিজের চোখে না দেখলে সংগ্রামী এই মানুষগুলোর (বেশিরভাগই নারী) ঘুরে দাঁড়ানোর ভঙ্গিটির সন্ধানই হয়তো পেতাম না। ক’দিন আগে উত্তরবঙ্গের একটি চরের এসব সংগ্রামী মানুষের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটিয়ে এলাম। মূলত ‘প্র্যাকটিক্যাল অ্যাকশন’ এর নির্বাহী পরিচালক নাজমুল ইসলাম চৌধুবীর আহ্বানেই এই মাঠ সফরে গিয়েছিলাম। সারাদিন সাদুল্লাহ্পুরের গ্রামে রহীমআফরোজের সোলার বিদ্যুত্ প্রকল্প পরিদর্শন শেষে সন্ধ্যে বেলা রংপুর পৌঁছুলাম। আরডিআরএসে’র পরিচিত গেস্ট হাউসে পৌঁছেই দেখলাম নাজমুল দাঁড়িয়ে আছেন আমাদের তার আঞ্চলিক অফিসে নিয়ে যাবার জন্যে। চেক-ইন করে কয়েক মিনিট পরেই রওনা হলাম তার সঙ্গে। তার আঞ্চলিক অফিসে পৌঁছার পরপরই তিনি একটি চমত্কার পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনার মাধ্যমে তার সংগঠনের কর্মকাণ্ড তুলে ধরলেন। তার উপস্থাপনা থেকেই জানতে পারলাম যে তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রের মিলনস্থলের এক বিশাল চর এলাকা নানাবিধ দুর্যোগের শিকার। বিশেষ করে বন্যা, নদী ভাঙন, শৈত্যপ্রবাহ. ঘূর্ণিঝড়, খরা মিলে এমন এক পরিবেশ তৈরি করেছে যার ফলে এ অঞ্চলে তীব্র খাদ্য সংকট বিরাজ করে। এসব প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে এক ভঙ্গুর পরিবেশে বসবাসকারী বিপুলসংখ্যক মানুষ নিঃস্বকরণের শিকার হন এবং অতি দারিদ্র্যের কবলে পড়ে যান। বিশেষ করে প্রতি বছরই বন্যায় নদীর কূল ভাঙে। আর সে কারণে বিরাটসংখ্যক মানুষ পুরোনো ঘর-বাড়ি ভেঙে বাঁধের ওপরে এসে ঠাঁই নেন। কী কষ্টেই না তাদের জীবন চলে। নাজমুলের উপস্থাপনায় দেখলাম ১৭ বার নদী ভাঙনের শিকার এক বৃদ্ধের চোখে মুখে সব হারানোর বেদনার এক বিষণ্ন চিত্র ফুটে উঠতে। এরা এদেশের নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও কর্মসংস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গৃহায়ন ও জীনবচলার মতো মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। তাছাড়া, এই চরগুলো একেবারেই দ্বীপের মতো। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। সুবিধে বঞ্চিত। সে কারণে খুবই ‘ভালনারেবল’ বা ভঙ্গুর। এসব চরের দুর্ভাগা মানুষদের জন্যে নেই কোনো কর্তৃপক্ষ বা ফাউন্ডেশন। আমরা অনেকদিন ধরেই ‘ন্যাশনাল চর অ্যালায়েন্সে’র পক্ষ থেকে এদের ভাগ্যোন্নয়নের জন্যে একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলার দাবি করে আসছি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চরের জন্যে বাজেটে বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর অভাবে এই অর্থ খরচ করা যাচ্ছে না। পিকেএসএফের অনুরূপ একটি ফাউন্ডেশন গড়ে তুলতে পারলে বাজেটের অর্থ এই দুঃখী মানুষদের কল্যাণে ব্যয় করা ছাড়াও দেশি-বিদেশি অনেক অলাভজনক প্রতিষ্ঠানকে এ কাজে যুক্ত করা সহজ হতো। ইউনিয়ন পরিষদসহ স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও গতিশীল করা যেতো। বিভিন্ন ব্যক্তিখাতের প্রতিষ্ঠান থেকে সামাজিক দায়বদ্ধ তহবিল সংগ্রহের পাশাপাশি বাস্তবায়িত কর্মসূচিগুলোর সুসমন্বয় করা সম্ভব হতো। আশা করছি গরিব-হিতৈষী বর্তমান সরকার চরের মানুষের এই প্রাণের দাবিটির গুরুত্ব বিবেচনা করে যথাযথ নীতি উদ্যোগ গ্রহণ করবে। আশার কথা এই যে, জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পীকার ও ডেপুটি স্পীকারসহ অনেক সংসদ সদস্যই এখন চরের মানুষের উন্নয়নের জন্যে এমন একটি প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব অনুধাবন করছেন। বিশেষ করে মাননীয় ডেপুটি স্পিকারের আগ্রহের যেন শেষ নেই। তিনি নিজেও একজন চরের বাসিন্দা। তাই চরের মানুষদের জন্যে তার রয়েছে বিশেষ দরদ। তাদের ও আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় চর ফাউন্ডেশন গড়ে তোলা একদিন নিশ্চয় সম্ভব হবে। আমরা সেই শুভদিনের প্রত্যাশায় রইলাম।
তবে এই মানুষগুলো কিন্তু বসে নেই। নিরন্তর বেঁচে থাকার সংগ্রামে তারা ব্যস্ত রয়েছেন। দেশি এবং বিদেশি অনেক অসরকারি প্রতিষ্ঠানও পরিশ্রমী এই মানুষগুলোকে নানাভাবে সহযোগিতা করছে। রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও গাইবান্ধার চরগুলো বরাবরই দুর্যোগপ্রবণ। নদী ভাঙনের কারণে এ অঞ্চলে বছর বছর চর উঠছে। বর্ষায় পানির নীচে চলে যায় এসব চরভূমি। বর্ষা শেষে বালুচর অনেকটা মরুভূমির মতো দেখায়। প্রচলিত ফসলের চাষ হয় না এই চরাঞ্চলে। ফলে বাঁধের ওপর বসবাসকারী পরিবারগুলোর বাস্তুচ্যুত মানুষগুলোর ছেলেমেয়েরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি সেবা খুব সামান্যই পেয়ে থাকে। নারীর অবস্থা আরও শোচনীয়। পুরুষদের অনেকে দূরে চলে যান কাজের সন্ধানে। সন্তান ও বয়স্কদের খাওয়া-পরার দায়িত্ব নিতে হয় এই নারীদেরই। সামাজিক বন্ধনগুলোও আলগা হয়ে যায় এদের জন্যে। সামাজিকভাবে প্রান্তে ঠেলে দেওয়া এই মানুষগুলোর সন্তানেরা নানামাত্রিক শোষণের শিকার হয়। তাদের মেয়েদের কম বয়সেই বিয়ে দেওয়া হয়। কম বয়সে মা হতে গিয়ে অনেক নারীই প্রাণ হারায়। তাছাড়া অন্যান্য স্বাস্থ্যগত সমস্যাও বেড়ে যায় তাদের। মানব অধিকার বঞ্চিত এসব মানুষকে সামাজিক সুরক্ষা দেবার জন্যেই চরভিত্তিক প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। এতো সব সমস্যা সত্ত্বেও প্রান্তিক মানুষগুলোকে নিজেদের পায়ে দাঁড় করাতে উদ্যোগী হয়েছে অনেক দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অসরকারি প্রতিষ্ঠান। প্র্যাকটিক্যাল অ্যাকশন এদের অন্যতম।
২০০৫ সাল থেকে এই প্রতিষ্ঠানটি এই চরাঞ্চলের ভূমিহীন কৃষক পরিবারের নারীদের সংগঠিত করে নয়া প্রযুক্তির ব্যবহরের মাধ্যমে কুমড়ো ও অন্য কিছু উচ্চফলনশীল ফসলের চাষে উদ্বুদ্ধ করেছে। প্রথমে গাইবান্ধার নীলকুঠি বাঁধের পাড়ের পরিবারগুলো নিয়ে শুরু করে ধীরে ধীরে বাদবাকি তিনটি জেলাতেও এই কর্মসূচির প্রসার ঘটিয়েছে। এ পর্যন্ত ১৯ হাজারেরও বেশি পরিবারকে এই উদ্ভাবনমূলক নয়া চাষে যুক্ত করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এসব ফসলের চাষের জন্য কারিগরি পরামর্শ, উপযুক্ত বীজ, সার, বাজারজাতকরণের বুদ্ধিসহ নানামাত্রিক পরামর্শ দেয় প্র্যাকটিক্যাল অ্যাকশনের কর্মীরা। সুবিধা গ্রহণকারীদের ৯০ শতাংশই নারী। তাই নারীর ক্ষমতায়নে এই প্রকল্প এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। চাষের জন্যে মাত্র ১৫০ দিনের মতো সময় পান এই সদস্যরা। প্রথমেই স্থানীয় সরকার ও প্রশাসনের সঙ্গে বসে জেগে ওঠা চরে কুমড়ো, স্কোয়াশ, চেরি, টমেটো, চাইনিজ বাঁধাকপি, গাজর, বিটসহ নানা পণ্যের চাষের জন্যে জমি বরাদ্দ দেয়া হয়। একেকটি সমিতির জন্যে একেকটি এলাকা চিহ্নিত করা হয়। প্রত্যেক সদস্যকে একটি করে লাইনে কুমড়ো চাষের সুযোগ করে দেয়া হয়। লাইন ধরে অসংখ্য পিট খোঁড়া হয়। ঐ পিটে গোবর ও অন্যান্য আবর্জনা ঢেলে জৈবসার তৈরি করা হয়। প্রত্যেক সদস্যই গাভী পালেন এবং তাদের গাভীর গোবর দিয়েই এই পিট ভরা হয়। মাঠকর্মীদের পরামর্শ মতো এই পিটে মিষ্টি কুমড়োর নানা জাতের বীজ বপন করা হয়। কয়েকটি লাইনের জন্যে বালু খুঁড়ে পলিথিন বিছিয়ে ক্ষুদে পুকুরে পানি মজুত করা হয়। প্রতিদিনই সদস্যরা এই ক্ষুদে জলাশয় থেকে পানি তুলে গাছের পিটে ঢালেন। গাছ একটু বড় হলে বালুতে যাতে ঢাকা না পড়ে যায় সেজন্যে সারের বস্তা দিয়ে ঢাকনা তৈরি করে পিটের ওপরে টাঙিয়ে দেয়া হয়। গাছে মিষ্টি কুমড়ো এলে এগুলোর রোগবালাই রোধে কারিগরি পরামর্শ প্র্যাকটিক্যাল অ্যাকশনের কর্মীরাই দিয়ে থাকেন। মাত্র তিন-চার মাসেই মাঠভর্তি মিষ্টি কুমড়ো দেখে প্রাণ ভরে যায়। এই কুমড়ো প্রায় একবছর পর্যন্ত ঘরেই রাখা যায়। এটি সহজে পচে না। তাই এর চাহিদা ভালো। বাইরে থেকে ব্যবসায়ীরা এই এলাকা থেকে এসে ট্রাকে ট্রাকে মিষ্টি কুমড়ো সংগ্রহ করছেন। চট্টগ্রামের একদল ব্যবসায়ী ট্রাকে ট্রাকে মিষ্টি কুমড়ো সংগ্রহ করছেন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খাবারের জন্য। বেশ কিছু দেশেও এই মিষ্টি কুমড়ো রপ্তানি করা হচ্ছে। কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প গড়তে পারলে এই মিষ্টি কুমড়ো দিয়ে শিশুখাদ্যসহ নানা জাতীয় খাদ্যপণ্য তৈরি করা সম্ভব। আশা করছি সায়েন্স ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানীরা এদিকটায় নজর দেবেন।
এরকম মিষ্টি কুমড়ো উত্পাদন দেখতে গিয়েছিলাম কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারীতে। ‘পাম্পকিন্স এগেইন্সট পোভার্টি’ প্রকল্পের যাত্রা শুরু ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে। এর আগে জুলাই-আগস্ট মাসে প্রবল বন্যা হয়েছিল এই এলাকায়। অতিদরিদ্র মানুষেরা ঘরবাড়ি হারিয়ে বাঁধে আশ্রয় নিয়েছিলেন। প্র্যাকটিক্যাল অ্যাকশন চিলমারীর বন্যার্তদের মাঝে রিলিফ বিতরণের সময় প্রায় ৭ মেট্রিক টন মিষ্টি কুমড়ো বিতরণ করেছিল। মিষ্টি কুমড়োর চাহিদা দেখে প্রতিষ্ঠানটি এ অঞ্চলে এর চাষ চালু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। ঐ বছরের নভেম্বর মাসে মোট ৩২১ জন সদস্য/সদস্যাকে নিয়ে বালুচরে মিষ্টি কুমড়ো চাষের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রকল্পটি যাত্রা শুরু করে। প্রকল্পের পক্ষ থেকে পিট তৈরি, জৈব/অজৈব সার, বীজ, সেচ ব্যবস্থাপনার উপকরণ, পোকা-মাকড় দমনের জন্য ফেরোমোন ট্র্যাপ, সুষ্ঠু পরাগায়ণের জন্য ‘মৌ-বক্স’ প্রদানের মাধ্যমে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। প্রবল বালুঝড় মোকাবেলা করে সদস্যরা এপ্রিলে মিষ্টি কুমড়ো সংগ্রহ করেন।
যে স্পটে আমি গিয়েছিলাম সেখানে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩৫১ জন সদস্য/সদস্যা মিলে ৩.১৩ মেট্রিক টন মিষ্টি কুমড়ো উত্পাদন করেন। ঐ বছর ২৫টি স্পটে মোট ২১০১ জন চাষি (৯০% নারী) ২১০ হেক্টর বালু চরে ৬৫৭৫ মেট্রিক টন মিষ্টি কুমড়ো উত্পাদন করেন। এর স্থানীয় বাজার মূল্য (৮ টাকা কেজি দরে) ছিল ৫ কোটি ২৬ লাখ টাকা। প্রকল্পের পক্ষ থেকে তাদের কুমড়ো সংরক্ষণের জন্য প্রাকৃতিক মাচা তৈরি ও বাজারজাতকরণে সহায়তা প্রদান করা হয়। এই সাফল্যের আলোকেই ২০১৭-১৮ অর্থবছরে জোড়গাছ বাজার সংলগ্ন এই বালুচরে ৭৬৩ জন সদস্য/সদস্যা কুমড়ো চাষ করেছেন। এর মধ্যে ১৫১ জন জেলে পরিবার। এই স্পটে মোট পিট সংখ্যা ৭৬,৩০০। মোট জমি ৭৬.৩ হেক্টর। আশা করা হচ্ছে, এই এলাকায় এবার আড়াই হাজার টনের মতো মিষ্টি কুমড়ো উত্পাদিত হবে।
এই স্পটসহ এ বছর রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলায় ৭৪০টি বালুচরের স্পটে পাঁচ হাজার সদস্য/সদস্যা ২৭ হাজার মেট্রিক টনের মতো মিষ্টি কুমড়ো উত্পাদন করতে সক্ষম হবেন। এই কর্মযজ্ঞ দেখতে জোড়গাছ বালুচরে গিয়ে দেখলাম কালো রানি, মাজেদা বেগম, জয়ন্তী রানী, আমেনা বেগম ও তসিরউদ্দীনসহ অনেক সদস্য/সদস্যা দল বেঁধে মিষ্টি কুমড়োর গাছে পানি দিচ্ছেন। সবুজ ও লাল রঙের নানা মাপের মিষ্টি কুমড়ো দেখে তাদের মুখে হাসি যেন ধরছে না। এই স্পটে আলাপ হলো জয়ন্তী রানীর সঙ্গে। তিনি বললেন, এ বছর তার আয় হবে ২০ হাজার টাকারও বেশি। প্রকল্পের কর্মীরা মনে করছেন, এ বছর কৃষক প্রতি আয় হবে ২৬ হাজার টাকার মতো। নারীর এই আয় পরিবারে তার অবস্থানকে জোরদার করতে সাহায্য করছে। গাভী পালন ও মিষ্টি কুমড়ো চাষ করে নিজেরাই তারা তাদের ভাগ্য বদলে ফেলেছেন। ঐ স্পটেই দেখলাম তারা যৌথভাবে চেরি টমেটো, লেটুস পাতা, গাজর, বিটসহ নানা সবজির চাষ করছেন। সব মিলে তাদের এই কর্মযজ্ঞ দেখে আমার মনটা আসলেই ভরে গেল।
প্রতিবছর এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রকল্পের পক্ষ থেকে মিষ্টি কুমড়োর মেলা হয়। এবারও অতিথি ও স্থানীয় কৃষকরা মিলে এক আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি করেছিলেন এই মেলাকে ঘিরে। নাজমুল জানালেন— যদি মাননীয় কৃষিমন্ত্রী এসে একবার এই মহাযজ্ঞ দেখতেন তাহলে নিশ্চয় তিনি তাঁর মন্ত্রণালয়ের সম্প্রসারণ কর্মীদের এসব সংগ্রামী কৃষক-নারীর পাশে এসে দাঁড়াতে বলতেন। আমিও নাজমুলের সঙ্গে একমত। বাংলাদেশের কৃষিতে যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনা সম্ভব হয়েছে তার পেছনে কৃষিমন্ত্রীর ভূমিকা অসামান্য। চরের মানুষের দুঃখ তিনি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয় অনুধাবন করতে পারেন। এদের দারিদ্র্য নিরসনে তাই নয়া ধাঁচের কৃষি প্রযুক্তির প্রসারে তাদের নীতি সমর্থন যে পাওয়া যাবে সে ব্যাপারে আমি অনেকটাই নিশ্চিত। এসব সংগ্রামী নারী কৃষকের জন্যে প্রাণভরা অভিনন্দন জানাচ্ছি। দিন বদলের সংগ্রামে তাদের কর্ম-চাঞ্চল্য সত্যি আশা জাগানিয়া।