বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার সপ্তাহ দুয়েক আগে জার্মান শিবিরে অশান্তির কালো মেঘ। অনুশীলনের মধ্যেই সংঘর্ষে জড়ালেন ফুটবলাররা। দক্ষিণ ইতালিতে জার্মানির প্রস্তুতি শিবিরে ঘটনার সূত্রপাত জোসুয়া খিমিচ বনাম আন্তোনিও রুদিগারের বল দখলের লড়াইকে কেন্দ্র করে। চেলসি ডিফেন্ডারের কড়া ট্যাকলে মেজাজ হারান বায়ার্ন মিউনিখ তারকা। তেড়ে যান একে অপরের দিকে। পরিস্থিতি সামলাতে আসরে নামতে হয় জার্মানির সহকারি কোচ ও প্রাক্তন তারকা মিরোস্লাভ ক্লোসাকে।
দ্বিতীয় ঘটনা, লেরয় সানের কনুইয়ের আঘাতে আহত হন জুলিয়ান ডাক্সলার। মুখে আঘাত লাগায় মাঠের মধ্যেই চিকিৎসা শুরু করতে হয় প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) মিডফিল্ডারের।
তবে ফুটবলারদের সঙ্গে সংঘাতের ঘটনাকে অবশ্য গুরুত্ব দিতে রাজি নয় জার্মান শিবির। ম্যাটস হুমেলস বলেছেন, ‘অনুশীলনে এই ধরনের ঘটনা একেবারেই অস্বাভাবিক নয়। প্রত্যেকেই চায় প্রথম একাদশে নিজের জায়গা পাকা করতে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা বেশি হওয়ায় মাঝেমধ্যে এই ধরনের ঘটনা ঘটতেই পারে।’
ক্লোসাও সংঘাতের ঘটনায় খুব একটা চিন্তিত নন। এই মুহূর্তে তার কাছে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাশিয়া বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়া। ফিফাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা ক্লোসা বলেছেন, ‘আমরা যে চ্যাম্পিয়ন হতে পারি, ফুটবলারদের মধ্যে এই মানসিকতা গড়ে তোলা দরকার। অভিজ্ঞ ফুটবলারদের পাশাপাশি এ বছর আমাদের দলে একঝাঁক প্রতিশ্রুতিমান রয়েছে। তাই ভারসাম্য গড়ে তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
বিশ্বকাপে ‘এফ’ গ্রুপে জার্মানির সঙ্গে রয়েছে মেক্সিকো, সুইডেন ও দক্ষিণ কোরিয়া।