জুয়ায় হেরে ১৫ লাখ টাকা দেনা হয়েছে। টাকার জোগাড় করতে স্ত্রী, সন্তানদের বেঁচে দিয়েছেন ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুল জেলার কোয়লাকুন্তলার এক ব্যক্তি।
পশুপতি মাদ্দিলেতি নামে ওই ব্যক্তি জুয়া ও মদে আসক্ত। প্রথমে ১৭ বছরের মেয়েকে এক আত্মীয়ের কাছে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করেন তিনি, তারপর স্ত্রী, বাকি ছেলেমেয়েদের ৫ লাখ টাকায় বিক্রি করেন।
মাদ্দিলেতির চার মেয়ে ও এক ছেলে। ১৭ বছরের মেয়েকে আত্মীয়ের হাতে তুলে দেওয়ার পর বাকি থাকে ৬, ৮, ১০ বছরের তিন মেয়ে, ৪ বছরের ছেলে।
মাদ্দিলেতি প্রথমে নিজের ভাইয়ের কাছে স্ত্রী, তিন মেয়ে ও একমাত্র ছেলেকে ৫ লাখ টাকায় বেঁচে দেওয়ার ব্যাপারে কথা বলেন। ভাই মাদ্দিলেতির স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন, কিন্তু তিনি বেঁকে বসেন। এজন্য মাদ্দিলেতি স্ত্রীর ওপর নির্যাতন শুরু করেন। অনেকবার তাকে বেঁচে দেওয়ার চেষ্টা করেন মাদ্দিলেতি। তিনি বাপ-মায়ের কাছে পালিয়ে যান। শেষমেষ তারা পুলিশে অভিযোগ করেন। স্থানীয় পুলিশ অবশ্য গোটা পরিবারকে বেঁচে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগের কথা বলেনি।
মাদ্দিলেতি যে বুদাগা সম্প্রদায়ের লোক, সেখানে স্ত্রী কেনাবেচা বহুদিনের প্রথা। পুলিশ জানায়, হেনস্থার অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
ঘটনাটি সম্পর্কে সুসংহত শিশু উন্নয়ন পরিষেবা (সিডিএস) দপ্তরের জনৈক কর্তা বলেন, লোকটি পুরো পরিবারকে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বেঁচে দিয়েছেন, মিডিয়া মারফত এ খবর শুনে তিনি উদ্যোগ নিয়ে মেয়েগুলিকে উদ্ধার করে শিশুদের দেখভালের জন্য সরকারি হোমে রাখার ব্যবস্থা করেন।